অতুল-নিখিল দ্বন্দ্ব ভূলি অতুলের বেটা অমিত নিখিলের সঙ্গে জোট

ক্ষীরোদা রায়ঃ অতুল রায়’ক সাথ’ত নিয়া নিখিল রায় গড়ি তুলেন কামতাপুর পিপলস পার্টি। সালটা ১৯৯৮। ব্যাগল রাইজ্য আর ভাষার দাবিত কামতাপুর পিপলস পার্টি উত্তরবঙ্গ আরহ নামানি অসম জুড়ি জোরদার আন্দোলন গড়ি তুলে। কিন্তুক, রাইজ্য আর ভাষার সাংবিধানিক দাবিক বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ঘোষণা করি বামফ্রন্ট সরকার বহু নির্দোষীক গ্রেপ্তার করে জেল’ত পাঠে দেয়। কামতাপুর পিপলস পার্টির মাড়েঞা নিখিল রায় গ্রেপ্তার হইলে অতুল রায় একেলায় দল পরিচালনা করেন। জেল থাকি নিখিল রায় বিরি আসির পর অতুল রায়ের নগত মতবিরোধ হয়। ভাঙি যায় কামতাপুর পিপলস পার্টি। সালটা ২০০৩। অতুল রায়ের নেতৃত্বত তৈরি হয় কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি। নিখিল রায় পুরাণ দলের সঙ্গে থাকি গেইলেন। অতুল-নিখিল দ্বন্দ্ব কামতাপুর আন্দোলনের ক্ষতি করিসে। এইবার অতুলের বেটা অমিত নিখিলের কেপিপির সঙ্গে জোট গড়ন করি আন্দোলনত আগাবে।

১৯ বছর পর দুই কামতাপুর ফির অ্যাকটে হৈল্। কিন্তু যে সময় অ্যাকটে হৈল্ এই সময়ত অতুল রায় স্বর্গবাসী হইসেন। অতুল রায়ের বেটা বাপের তৈরি দলটাক পুরাণ দলের সাথে যোগ করাইল। অনেকের মনে থাকির পারে যে অতুল রায়ের মৃত্যুর পর কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টিও দুই ভাগে ভাগ হয় এই বছরে। অতুল রায়ের দাদা অধীর রায় একপাখে আর অইন্য পাখে অতুল রায়ের বেটা অমিত রায় আর অমিতের মাও মেনকা রায়। অধীর রায়ের নগত যে সদস্যগিলা আছে তার মধ্যে বেশিরভাগে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, যে সদস্যলা অতুল রায়ের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিত ঠাঁই পায়।

তাহলে, অমিতের কামতাপুর পিপলস পার্টির সঙ্গে জোট তৈরি করা আসলে কি কামতাপুর আন্দোলনের মূল কান্ডারি কামতাপুর পিপলস পার্টির নয়া করি উবজন ঘটিবে?

প্রশ্নটা এই কারণে যে, ২০০৪ সালে জিসিপিএ পহিলা বার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলিসে। সেই দাবির মান্যতা আদায়ের জন্য এই মুহূর্তে জোরদার আন্দোলন চলেছে। কেন্দ্র সরকার সেই দাবি যদি মানিয়ো নেয়, তার পাছিলাত কামতাপুর, গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনের কৃতিত্ব থাকিবে। সেই সাথে ভারতের নিরাপত্তা নিয়ায় কেন্দ্র সরকারের কৌশল ভাবনা কাজ করেছে। জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটাত ভারত ভূটান সীমান্ত থাকি চিন মাত্র ২৬ কিমি দূরত অবস্থিত। ভূটানের ডোকালাম এলাকাত চিনের অনুপ্রবেশ ভারতের পক্ষে চিন্তার। ভারতের উত্তর পূর্ব রাইজ্যগুলা যুক্ত শিলিগুড়ি করিডোর দিয়া, যাক মুরগির গালা কোওয়া হয়। চিনের লক্ষ্য মুরগির গালা কাটি দিয়া উত্তর পূর্ব ভারত দখল। শিলিগুড়িক বন্দর শহর তৈরি করি উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করি ভারতের পুবে তাকাও নীতিত জোর আনাও লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের।

এই অবস্থাত নিখিল রায়ের সাথে অমিত রায় এক সুরে ব্যাগল রাইজ্য আর ভাষার দাবি জানায়ছে। যদিও সৌগ দলের ফার্স্ট প্রায়োরিটি ভাষা আর তারপর রাইজ্য অথবা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *