অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা বলে অভিযোগ, ধুন্ধুমার কান্ড নাজির পাড়া গ্রামে

রামপ্রসাদ মোদক, জলপাইগুড়ি ২২ মেঃ লকডাউন এর ফলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন এক রিক্সা চালক, এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজির পাড়া গ্রামে।  লক ডাউনের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন  শ্রমজীবী মানুষ খাদ্যের অভাবে আজ আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ । মৃত ব্যক্তির নাম বিমল রায় (৪৫) । খাদ্যের অভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে অভিযোগ ।পেশায় রিক্সা চালক বিমলবাবু। তার স্ত্রী গৃহ পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান । তার পরিবার খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতার  বাইরে। বারংবার রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেও কার্ড পায়নি তারা। কাজ করে দুই সন্তানকে নিয়ে কোন ক্রমে সংসার চালাচ্ছিলেন। কিন্তু লক ডাউনের ফলে পুরো কাজ বন্ধ হয়ে দিশেহারা হয়ে পরেন । তার পরিবার সুত্রে জানা যায় তিনি এলাকার পঞ্চায়েতের কাছে রেশনের চালের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু  কোন সাহায্য পায় নি ।তার স্ত্রীর কোন কাজ নেই । সংসারের সবাই অর্ধাহারে  দিন কাটাতে কাটাতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে বিমল রায় বৃহস্পতিবার আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ । 

এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ আজ পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি এলাকায় লক ডাউনের বিধি মেনে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান। তারা দাবি করেন খাদ্য সুরক্ষা আইন মোতাবেক সকলের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হবে ।মৃত বিমল রায়ের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিক্ষোভে  সামিল   পুলক রায় পেশায় মাছ বিক্রেতা বলেন, তারও রেশন কার্ড না থাকার কারণে এই লক ডাউনে কোন রেশন তিনিও পান নি । এদিকে কাজ নেই কিভাবে সংসার চলবে বুঝতে পারছেন না । তিনি প্রশ্ন তুলেন রাজ্য সরকার বলছে রাজ্যে নাকি দশ কোটির মতো মানুষ রেশন পেয়েছে তাহলে আমরা কি  দশ কোটির বাইরে  ? বিক্ষোভকারীদের এক জন পীযুষ মিশ্র বলেন, দেশে একটা খাদ্য সুরক্ষা আইন আছে ।প্রত্যেক গরিব মানুষ এই আইনের আওতায় খাদ্য সামগ্রী পাওয়ার অধিকার আছে।পিযুষবাবুর প্রশ্ন তাহলে কেন বিমল রায়দের খাদ্যের অভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে । সরকারকে আরো সংবেদনশীল হয়ে সব গরিব মানুষের কাছে খাদ্য পৌছে দিতে হবে ।এই বিক্ষোভে সামিল হন সুনিল রায়, সুভাষ রায়, শম্ভু সূত্রধর, কৃষ্ণ সেন, সহ আরো অনেকে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *