আধুনিক যন্ত্রাংশের সাহায্যে ধান কাটতে পেরে খুশি কৃষকেরা, কাজ হারাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকরা
বিদ্যুৎ কান্তি বর্মন,ঘোকসাডাঙ্গা: মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের বড় শৌলমারী, ফুলবাড়ী, লতাপাতা, রুইডাঙ্গা সহ প্রায় সব কটি অঞ্চলে কৃষকেরা শুরু করেছে বিঘে পর বিঘে আমন ধান কাটার কাজ ।তবে এবছর কৃষকেরা খুব অল্প সময়ে এবং অল্প খরচে আমন ধান কাট তে পারছে ধান কাটার যন্ত্র দিয়ে ,ফলে অনেক লাভবান হবেন বলেও আশা করছেন তারা।কৃষক ভক্ত দে, তুষার বর্মন,গণেশ বর্মন সহ প্রমুকরা জানান আধুনিক যুগে আধুনিক যন্ত্রাংশের দাঁড়া ধান কাটতে পারে আমরা কৃষকেরা খুবই খুশি খুব কম সময়ে এবং খুব কম খরচে ধান কাটা হচ্ছে এতে আমরা আরো বেশি জমিতে ধান বুনতে পারবো ও আমরা অনেকটা লাভবান হব আশা করছি।প্রতি বছর ধান কাটতে একদিকে যেমন শ্রমিকের আকাল পড়ে তেমনি অপরদিকে আমন ধান কাটতে প্রায় বিঘে প্রতি ১০০০-১৪০০টাকা খরচ হয় ।এবারে তা একি বাড়ে কম অর্ধেক বলেও চলে।এবছর ধানকাটা যন্ত্রাংশের সাহায্যে আমরা ধান কেটে পড়ে অনেকটাই উপকৃত ও লাভবান হব।
ধান কাটার যন্ত্র এর মালিক সজল বর্মন জানান বিঘে প্রতি ধান কাটতে বর্তমানে কৃষক দের খরচ হচ্ছে ৭০০টাকা,ফলে সকলেই কম খরচে কম সময়ে যন্ত্রাংশের দিয়ে ধান কাটতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এতে শ্রমিকশ্রেণীর কিছুটা ক্ষতি হলেও কৃষকেরা কিন্তু লাভবান হচ্ছে। এই ধান কাটার যন্ত্র ৪০থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে এক বিঘা কাটতে পারে ও ধান কাটার যন্ত্র অংশটি চালাতে ঘন্টা প্রতি দের থেকে দুই লিটার তেল লাকছে।
দিনমজুর কৃষি শ্রমিক পমেশর বর্মন,আইজার মিঞা, শ্যামাপদ দত্ত সহ অনেকেই বলেন এতে অনেক কম খরচে সুবিধা হলেও আমরা কাজ হারাচ্ছি ফলে আমাদের পরবর্তীতে অন্য কাজের সন্ধান করতে হবে সেই দুশ্চিন্তা বেড়ে যাচ্ছে।