আলুর বন্ড দেওয়ার প্রথম দিনেই চাষিদের বিক্ষোভ , পুলিশি হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান

 ময়নাগুড়ি , ১০ মার্চ : সরকারিভাবে চাষিদের জন্য সংরক্ষিত আলুর বন্ড বিলি শুরু হয় শুক্রবার । গত বছর হিমঘরগুলির এই আলুর বন্ড বিলিকে কেন্দ্র করে চাষিদের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগ উঠেছিল । বিক্ষোভ থেকে শুরু করে রাস্তা অবরোধ হয়েছিল নানা জায়গায় । তাই এবছর চাষিদের বন্ড পেতে যাতে কোনো রকম সমস্যা বা বিক্ষোভ না হয় তার জন্য আগে থেকেই প্রশাসনিকভাবে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে । তারপরেও আলুর বন্ড বিলির প্রথম দিনেই ময়নাগুড়ির ডুয়ার্স কোল্ড স্টোরেজে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় আলু চাষিরা । অফিস লক্ষ্য করে পাথর পর্যন্ত ছুড়েন তারা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান জেলা পুলিশের ডিএসপি (ক্রাইম) বিক্রমজিৎ লামা ও ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ বাহিনী । পুলিশ বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন । বিক্রমজিৎ বাবু বলেন , 'এখানে বন্ড নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি । সমস্যা হয়েছে বন্ডের জন্য টোকেন পাওয়া নিয়ে । যারা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টোকেন পাননি তারা বিক্ষোভ দেখান । আমরা হিমঘর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সেই সব চাষীর জন্য টোকেনের ব্যবস্থা করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।'

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে , সরকারিভাবে চাষিদের জন্য সংরক্ষিত ২০ শতাংশ বন্ড শুক্রবার থেকেই বিলি করার কথা ঘোষণা করা হয় । সেই কারণে এদিন ভোর থেকেই চাষিরা ময়নাগুড়ির বিভিন্ন হিমঘরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন । কিন্তু ঝাঝাঙ্গি ডুয়ার্স কোল্ড স্টোরেজে এদিন বন্ড দেওয়ার পরিবর্তে চাষিদের টোকেন দেওয়া হয় । ডুয়ার্স কোল্ড স্টোরেজ সূত্রে জানানো হয় , তাদের পক্ষ থেকে ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের চাষিদের সরকারি বন্ড দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত তারা চাষিদের নামের তালিকা পাননি । চাষিরাও প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে আসেননি । তাই এদিন প্রথম ধাপে তারা ১০৭ জন চাষিকে বন্ডের জন্য টোকেন বিলি করেন । চাষিদের অভিযোগ , দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়ানোর পরেও অনেক চাষি টোকেন পাননি । তাই তারা টোকেনের দাবি জানান । কিন্তু হিমঘর কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করে গেট বন্ধ করে দেন । তাই তারা বন্ডের জন্য টোকেনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হন ও অফিস ঘর লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়েন । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের ডিএসপি (ক্রাইম) বিক্রমজিৎ লামা ও ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ বাহিনী । পুলিশ হিমঘর কর্তৃপক্ষ ও চাষীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন । পরবর্তী ধাপে আরও ৮০ জন চাষিকে আলুর বন্ডের জন্য টোকেন দিতে বাধ্য হয় হিমঘর কর্তৃপক্ষ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *