এস আই আর শুরুর প্রথম দিনে বিএলওদের ফেরালো সাবেক ছিট মহলের বাসিন্দারা

এস আই আর শুরুর প্রথম দিনে বিএলওদের ফেরালো সাবেক ছিট মহলের বাসিন্দারা। বাড়ি বাড়ি ঘুরেও ভোটারদের হাতে এস আই আর এর ফর্ম তুলে দিতে ব্যর্থ হলেন বি এল ও। সাবেক ছিট মহলবাসীদের দাবি, এই ফর্মে ২০০২ সালের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তখন তারা সকলেই বাংলাদেশী ছিলেন। ২০১৫ সালে পহেলা আগস্ট থেকে ভারত সরকার তাদের নাগরিকত্ব দিয়েছে। সেই তথ্য উল্লেখ করার কোন জায়গা নেই এই ফর্মে। তাই তাদের সাদা ফর্ম জমা করতে হবে। এইরকম তা করতে নারাজ তারা। তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট ঘোষণা করুক ছিট মহল বাসীদের ২০১৫ সালের নথি দেখালেই এস আই আর তালিকায় নাম উঠবে। ততক্ষণ পর্যন্ত তারা ফর্ম নেবে না। দুইদিন অপেক্ষা করবে, যদি নির্বাচন কমিশন তাদের জন্য বিশেষ ঘোষণা না করে, তাহলে জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও করবে তারা।
সাবেক ছিট মহল পোয়াতুর কুঠিতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ব্যর্থ হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন বি এল ও।
দীর্ঘ আন্দোলনের পরে ২০১৫ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় হয়। ৫১টি বাংলাদেশি ছিট মহল ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১১১ টি ভারতীয় ছিট মহল বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পহেলা আগস্ট ২০১৫ সাল থেকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ১১ টি ছিট মহলের বাসিন্দাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করে নোটিফিকেশন জারি করে। পরবর্তীতে সেই নোটিফিকেশনের ভিত্তিতে ছিটমহল বাসীদের ভোটার কার্ড দেওয়া হয়।

পোয়াতুর কুটির বাসিন্দা জিনাত আলী বলেন, বি এল ও আমার বাড়িতে এসেছিল এস আই আর এর ফর্ম দিতে। ফর্ম পড়ে বুঝতে পেরেছি ২০০২ সালের তথ্য দিতে হবে না হলে ফাঁকা ফর্ম জমা করতে হবে। আমি ২০১৫ সালে ভারতের নাগরিক হয়েছি। তার আগে ছিট মহলের বাসিন্দা ছিলাম। আমি কেমন করে ২০০২ এর তথ্য দিব। সেই কারণে ফরম গ্রহণ না করে বি এল ওকে ফেরত দিয়েছি।
ওই এলাকার বাসিন্দা সাহেব আলী বলেন, ছিট মহলের মানুষরা দুইদিন অপেক্ষা করবে। তারপরে যদি নির্বাচন কমিশন আমাদের জন্য বিশেষ নিয়ম ঘোষণা না করে, জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও করবো আমরা।

করলা ছিট মহলের বাসিন্দা রহমত আলী বলেন, ২০১৫ সালের পহেলা আগস্ট থেকে ভারত সরকার নোটিফিকেশন জারি করে আমাদের নাগরিকত্ব দিয়েছে। সেই নোটিফিকেশনের উপর ভিত্তি করে ২০১৬ সালে আমার ভোটের কার্ড হয়। ২০১৫ সালের আগে আমরা বাংলাদেশী ছিট মহলের নাগরিক ছিলাম। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া 11 টি নথির কোনোটিই আমাদের নেই। আমাদের জন্য বিশেষ নিয়ম ঘোষণা করতে হবে।

পোয়াতুর কুঠি গ্রামের বিএলও বিপুল মোদক বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বাড়ি বাড়ি ফর্ম দিতে এসেছিলাম। ছিট মহলের বাসিন্দারা ফর্ম নেয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *