‘ওরা করলে চমৎকার, আমরা করলে বলাৎকার’ : বিজেপিকে আক্রমণ অভিষেকের

সুব্রত রায়, নাগরাকাটা: বিধানসভা ভোটের উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। সব দলের লক্ষ্যই এখন উত্তরবঙ্গ। একদিকে যখন বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার রথ ঘুরছে ঠিক সেসময় ডুয়ার্সের নাগড়াকাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভা। আর এই নাগরাকাটা এবার প্রেস্টিজ ফাইট দুই দলের কাছেই। কারণ এখানকার তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাই এই আসনটি পাখির চোখ দুই দলের কাছেই। এদিকে এদিন নাগরাকাটার প্রকাশ্য জনসভায় শুরু থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নির্ধারিত সময়ের প্রায় একঘন্টা পরে তিনটা নাগাদ মঞ্চে আসেন তিনি। প্রথমেই উত্তরবঙ্গের মহান মনীষী রায় সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা, কবি ভানুভক্ত ও বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি।এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরু শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন,”বিজেপি টাকা দিলে নিবেন, কিন্ত ভোট জোড়াফুলে দিবেন। কারণ ৭ বছরে ওরা কিছুই করেনি। তাই ওরা যেমন কথা দিয়ে কথা রাখেননি। আপনারাও টাকা নিয়ে ভোট দিবেন না।” তিনি আরো বলেন,” উত্তরপ্রদেশ সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে। অথচ ওরা রাজ্যে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে।” তিনি কটাক্ষ করে বলেন,”ওরা করলে চমৎকার, আর আমরা করলে বলাৎকার। ওরা করলে লীলা আর আমরা করলে রামলীলা।”তিনি বিজেপিকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করে বলেন যারা বাংলার সংস্কৃতি জানে না। তারা বাংলা দখল করার স্বপ্ন দেখে। একজন বাংলার মূখ্যমন্ত্রীকে হারাতে বাইরে থেকে দলে দলে নেতারা আসছে। তাদেরকে আটকানোর দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। প্রখর রোদে ভিড়ে ঠাসা জনসভায় তিনি মাঝে মধ্যেই হিন্দি চুটকুলে ব্যবহার করেন। দলত্যাগ করা নেতাদের কিরে মাকড়া বলেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, চাষের জমি থেকে কিরে মাকড়া চলে গেলে চাষের সুবিধাই হয়। দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা বলেন রাজ্যে উন্নয়ন হয়নি তারাই আবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য লাইনে দাঁড়ান।জেলার সাতটি বিধানসভার আসনেই জেতার কথা বলেন তিনি। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন তখন রীতিমতো ঝিমোতে ও হাই তুলতে দেখা যায় জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মনকে। এদিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ডা শান্তনু সেন, জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যাণী, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জি সহ আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার সব বিধায়ক ও নেতারা। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের জনসভায় অনুপস্থিত ছিলেন তিন মন্ত্রী গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয় বর্মন। যা নিয়ে কিন্ত রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *