করোনার থাবা মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকে, হদিস মিলল তিন জনের দেহে

পরিমল বর্মন, ঘোকসাডাঙ্গা, ২৭ জুন:- করোনার জেরে লক ডাউন বেড়েই চলেছে। কিন্তু করোনার সংক্রমণ কোনো মতে কমানো সম্ভব হচ্ছে না। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। ইতিমধ্যে কোচবিহার জেলার কয়েকটি জায়গায় করোনা সংক্রমনের হদিস মিললেও মাথাভাঙা ২ ব্লকে কারো শরীরে করোনার হদিস পাওয়া যায়নি। কিন্তু শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য দফতর তথা প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকে তিন জনের শরীরে করোনার হদিস মিলেছে। আর তিন জনকে রাতেই কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করে জায়গাগুলিকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে ব্লক প্রশাসন। উল্লেখ্য গত ৯ মে প্রথম ৭৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের সোয়াব টেস্ট করা হয় এবং সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আবার ২২ সে জুন মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৯৭ জনের সোয়াব টেস্ট করা হয় তাদের রিপোর্ট আসে শুক্রবার। এই রিপোর্টে তিন জনের রিপোর্ট আসে পজিটিভ। এই তিন জনের মধ্যে দুই জনের বাড়ী ঘোকসাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এবং এক জনের বাড়ী রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বলে জানা যায়। তিন জনকেই শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করান স্বাস্থ্য দফতর বলে জানা যায়। শনিবার এই তিন জনের বাড়ী পরিদর্শন করেন বিডিও রজত রঞ্জন দাস, ও সি দেবাশিস রায়, মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ সুভাষ গাইন সহ অন্য আধিকারিক গন এবং সেখানকার আসে পাশে বাড়ী গুলির সাথে কথা বলে জায়গা গুলিকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করেন। আরো জানা যায়, এই তিন জনের এক জন ঘোকসাডাঙ্গা জামের গোর এলাকার অধিবাসী, তিনি কিছু দিন আগে কেরল রাজ্য থেকে এসেছেন এবং ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকার পর বাড়িতে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন এ ছিলেন তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। আর একজন ঘোকসাডাঙ্গা পুরান থানা মোর এলাকার নিবাসী তার স্বামী আসামে থাকেন কিছুদিন আগে তার মেয়ে কোচবিহার এর কোন এক নার্সিং হোমে প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ভর্তি হলে মেয়ের দেখা শোনার জন্য নার্সিংহোমে যান । অনুমান সেখান থেকেই হয়ত সংক্রমণ। অন্য জন ঘোকসাডাঙ্গা নিবাসী স্বামী ভুটানে আছেন এবং তিনি অন্তঃসত্যা তাই চার মাস আগে রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব ডাউয়া গুড়ি গ্রামে বাপের বাড়িতে আসেন এবং সেখানেই থাকেন। তিনি হাসপাতালে রুটিন চেকআপ করতে আসেন এবং তারও সোয়াব টেস্ট করা হয় এবং তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। যেহেতু কোন ট্রাভেলিং হিস্টোরি নেই এই মহিলার কিভাবে সংক্রমণ এই নিয়ে ধন্দে প্রশাসন। আরো উল্যেখ্য, লক ডাউন ঘোষণার কিছুদিন পর থেকে ঘোকসাডাঙ্গা এবং ব্লক জুড়ে কোথাও কোন সামাজিক দূরত্ব মানছে সাধারণ মানুষ। প্রশানিক ভাবে বিভিন্ন সচেতন মূলক প্রচার সত্বেও সাধারণ মানুষের খামখেয়ালি পনা নিয়ে চিন্তিত সচেতন নাগরিক গন। এমন কি ব্লকে তিনজন পজেটিভ এ খবর জানার পরও বিভিন্ন বাজারে মাস্ক ছাড়াই প্রচুর মানুষকে দেখা যাচ্ছে যা কিন্তু চিন্তার এবং উদ্বেগের বলে মনে করছেন অনেকে। তবে এই খবর জানার পর ঘোকসাডাঙ্গা ব্যবসায়ী সমিতি আজ জরুরি বৈঠকে বসবেন বলে ব্যাবসায়ী সূত্রে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *