কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা
বিদ্যুৎ কান্তি বর্মন,সিঙ্গিজানি,১৭মে:-কোচবিহার জেলার কৃষি প্রধান অঞ্চল গুলির মধ্যে একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য কৃষি প্রধান এলাকাবলে পরিচিত মাথাভাঙ্গা 2 নং ব্লকের বড়শৌলমারী অঞ্চলের সিঙ্গিজানি , মুকলডাঙ্গা এলাকা। সেখানকরার সাধারণ মানুষরা সারা বছরি কৃষি কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ।
তবে এবার নতুন বছরের শুরু থেকেই মরণ ভাইরাস কোভিড-১৯ জেরে চলা লকডাউন জেরে বাইরের ক্রেতারা না আসায় বিভিন্ন ফসলের সঠিক দাম পাচ্ছে না কৃষকেরা । বাজারে সবজি নিয়ে গেলেও বেশিরভাগ সবজি বিক্রির না হওয়া বাজারেই ফেলে দিয়ে আসতে হচ্ছে কৃষকদের।ফলে তাদের পণ্যবাহী গাড়ি ,ভ্যান,টোটো ভাড়া ও কৃষকদের নিজের পকেট থেকে দিতে হচ্ছে এতে মজুত অর্থের সংকট দেখা দিচ্ছে।এসময় এসব ফসলে টাকা না পেলে ভবিষ্যতে তারা কি করে নতুন ফসল ফলাবে ও তারা কি করে ভবিষ্যতে দিন কাটাবে সব মিলিয়ে একাধিক চিন্তা দিন কাটাচ্ছে কৃষকরা এমনটাই জানন এই এলাকার কৃষক নিতাই রায়, সুরেন্দ্রনাথ বর্মণ ,মনোরঞ্জন বর্মন প্রেমানন্দ সরকার সহ অনেকেই।
তারা বলেন প্রতিবছর আমরা চাষিরা ঢেঁড়স বিক্রি করি কেজি প্রতি ৭০-৮০টাকা ,তবে এবছর তা লকডাউন জেরে প্রথমে কমে দাড়িয়ে ছিল কেজি প্রতি ২৫-৩০টাকা।
কিন্তু এখন সেই দাম এক ধাক্কায় নেমে দাঁড়িয়েছে ৩-৫ টাকা কেজি প্রতি। এই দামে ফসল বাজারে নিয়ে গিয়ে কিছু লাভ নেই ,তাই পরিচর্যা ও সঠিক দামের অভাবে জমিতেই ঢেঁড়স নষ্ট করতে বাধ্য হচ্ছি।
এ বিষয়ে মাথাভাঙ্গা 2 নং ব্লকের কৃষি আধিকারিক সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ওনাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।