গৃহবধূকে মেরে ফেলার অভিযোগে চাঞ্চল্য
নিউজ ডেস্ক, শিলিগুড়ি:শুক্রবার শিলিগুড়ির কলা বস্তি এলাকায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।জানা যায় শিলিগুড়ির আদর্শ পল্লী বাজারের নারায়ন রায়ের একমাত্র মেয়ে মিনু রায় (বয়স ২৩ )এর সাথে মাটিগাড়ার কলা বস্তি এলাকার জয়দেব বর্মনের প্রায় ন বছর আগে দেখাশোনা করে বিয়ে হয়। তবে সন্তান না হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার ওপর অত্যাচার করতো এবং অশান্তি করত বলে অভিযোগ মৃতার বাবা-মায়ের। মৃতার বাবা নারায়ণ রায় জানান, একমাত্র মেয়ের বিয়ের ন বছর হয়ে গেল সন্তান না হাওয়ায় নিজেই খরচ করে চিকিৎসা করিয়েছেন।জামাই মাঝে মাঝেই টাকা দাবি করত সেই দাবিও মেটানো হতো। তারপরও সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। শুক্রবার দুপুর তিনটা নাগাদ মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন আসে, তারা উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজও হাসপাতালে ছুটে আসেন। সেখানে এসে জানতে পারেন তাদের মেয়ে আর বেঁচে নেই। মৃতার মা অভিযোগ করেন তার বাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়ে কিছুদিন থাকার পর গত তিন দিন আগে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি ফিরেছে, তবে বাড়ি ফিরে অশান্তির জেরে তার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। মৃতার স্বামী জানান ঘটনার সময় তিনি কাজের সূত্রের বাইরে ছিলেন। পেশায় গার্ড এর কাজ করেন তিনি। এদিন সকাল ন’টায় তিনি কাজে বেরিয়ে যান পরে দুপুর দুটোয় তার দিদি ফোন করে জানান তার স্ত্রী বিষ পান করেছে। তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এসে জানতে পারেন তার স্ত্রী মারা গেছেন। হাসপাতাল চত্বরে এদিন মৃতার শাশুড়ি ও ননদকে দেখা যায়। মৃতার ননদ জানান তিনি ই প্রথম মিনু রায় কে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান এবং তড়িঘড়ি টোটো ভাড়া করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। তিনি আরো বলেন তাদের পরিবারের কেউ এই ঘটনায় জড়িত না।এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ এর সামনে দু পক্ষের মধ্যে বচসা হয় এবং হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। মৃতার মা-বাবা মাটিগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।