গোটা বছর গরম জল দিয়ে স্নান
সঞ্জয় কুমার বর্মন, মাথাভাঙ্গা : শীতকালে স্নান করতে আনন্দ শীতলখুচি ব্লকের ভাঐরথানা গ্রাম পঞ্চায়েতের নাওটারি গ্রামের বাসিন্দাদের। শীতে যখন জবুথবু সারা উত্তরবঙ্গ তখন দিব্যি সকাল সকাল স্নান সারছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা । কারন সারা বছর ধরেই ওই এলাকার নলকূপ দিয়ে গরম জল বের হয়। পাশের গ্রামের অনেকে শীতকালে স্নান করতে আসেন নাওটারিতে। তবে কেন গরম জল বের হয় এর কোনো পরীক্ষা করেনি প্রশাসন।
সারা বছর ধরেই নাওটারি গ্রাম এলাকার নলকূপ দিয়ে গরম জল বের হয়।
নাওটারি গ্রামেপ্রায় ৩০টি নলকূপ আছে এলাকায়। প্রত্যেকটি দিয়ে গরম জল বের হয়। সেই জলে শীতকালে স্নান করলে ঠান্ডা লাগে না। বিনা খরচে পাওযা যায় গরম জল। তবে শীতকালে স্নান করতে সমস্যা না হলেও গ্রীষ্মকালে সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা। গরমের দিনে ঠান্ডা জলে তেষ্টা মেটানোর উপায় নেই গ্রামের মানুষের। ওই গ্রামের প্রবীণরা জানিয়েছেন, কত দিন ধরে এলাকার নলকূপ দিয়ে গরম জল বের হচ্ছে তা বলা সম্ভব নয়। তবে তাঁরা ছোটোবেলা থেকেই ওই গরম জল খেয়ে আসছেন। এই জল খেয়ে কেউ অসুস্থ হননি। এলাকাবাসী দাবি ছিল জল গরম হওযার কারণ জানতে চান তারা। গ্রামে নলবাহিত ঠান্ডা পানীয় জলের দীর্ঘ দিনের দাবি গ্রামবাসীদের । বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকার তৎকালীন বিধায়ক হিতেন বর্মণের উদ্যোগে ৮লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা ব্যায়ে সোলার প্ল্যান্ট বসিয়ে তিনটি ট্যাপের মাধ্যমে ঠান্ডা পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হলেও সেই ট্যাপকল নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা ফুলবাবু,শ্যামল বর্মণরা জানান,শীতকালে আমাদের সমস্যা নেই । বরং পাশের গ্রাম থেকে অনেকে এই গ্রামে আসে স্নান করতে । তবে গরমের সময় গরম জল সমস্যা তৈরী করে। অপর এক বাসিন্দা বলেন, সোলার প্ল্যান্টটি ফের চালু হলে গ্রামে ঠান্ডা ও গরম দু’রকম জল মিলবে গ্রামে।এ বিষয়ে ভাঐর থানা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অমল বর্মণ বলেন, নাওটারি গ্রামের প্রাকৃতিক গরমজল বিষয়টির রহস্য আজও অজানা। অপরদিকে বন্ধ সোলার প্ল্যানটির বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঠিকাদারি সংস্থার সাথে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।