‘চলো স্কুলে পড়াই’ অভিযান

বিষ্ণুপদ রায়,হলদিবাড়ি;করোনার প্রকোপে সবকিছু খোলা থাকলেও বন্ধ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন। দুবছর স্কুল বন্ধ থাকার পর আশা ছিল ২০২২ নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হবে। কিন্তু এখনো পঠনপাঠন শুরুর কোনো আশা দেখায়নি রাজ্য সরকার। আর তাই বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ডাকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ‘চলো স্কুলে পড়াই’ অভিযান’। সমিতির ডাকে হলদিবাড়িতেও স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে কোনো মাঠে বা কারও বাড়ির উঠোনে শুরু হল পঠনপাঠন। সমিতির শিক্ষক সহ অন্য শিক্ষকরাও এই ডাকে সাড়া দিয়েছে। এদিন বক্সীগঞ্জের এক মাঠে দেখা গেল কয়েকজন পড়ুয়াকে মুখে মাস্ক পড়ে দূরত্ব বজায় রেখে পড়াচ্ছেন এক শিক্ষক। পড়ুয়াদের সবার মুখেও মাস্ক ছিল । এই উদ্যোগের ফলে খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরাও।
বিদ্যালয় বন্ধ তৃতীয় বছরে পড়েছে। ফলে পড়ুয়ারা বিশেষত গ্রামাঞ্চলে পড়াশোনায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক পড়ুয়া মানসিক অবসাদে ভুগছে। প্রতিটি অভিভাবক চায় করোনা বিধি অবিলম্বে বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হোক। বিদ্যালয়ে পড়ালেখা বন্ধ থাকায় হতাশ শিক্ষক- পড়ুয়া- অভিভাবকরা।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির হলদিবাড়ি চক্র সম্পাদক আব্দুল জলিল সরকার জানান,সমিতির ডাকে হলদিবাড়ির বহু শিক্ষক এই অভিযানে সাড়া দিয়েছেন। অনেকে পড়াচ্ছেন পড়ুয়াদের। আমাদের বক্সীগঞ্জের এক চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মানসিক অবসাদে এমনভাবে ভুগছে যে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আমরা চাই সরকার অবিলম্বে পড়ুয়াদের শিক্ষার ক্ষতির হাত থেকে বাচাতে করোনা বিধি মেনে পঠনপাঠন শুরু হোক। পড়ুয়ারা যাতে ধারাবাহিকভাবে পড়াশুনা করতে পারে সেজন্য আমরা সমিতির উদ্যোগে নিজ নিজ স্কুল এলাকায় পড়ানো শুরু করেছি। আমরা চাই পড়ুয়া অভিভাবকরা ঐক্যবদ্ধভাবে জোরালো দাবি তুলুঈ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করার। সমস্ত স্তরের প্রাথমিক শিক্ষক এভাবেই পড়ানো শুরু করুক এই আবেদন রাখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *