চাষীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস বিধায়কের

হরিশ্চন্দ্রপুর;;০৮আগস্ট: মন্দা বাজার বিমুখ আবহাওয়া। সাথে মিলছে না কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সহায়তা। মাথায় হাত পাট চাষীদের। কিছুদিনের মধ্যেই দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হবে। আশ্বাস বিধায়ক তজমুল হোসেনের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলে উঠেছে গোটা দেশ। তবে তার মাঝেই দরজায় কড়া নাড়ছে তৃতীয় ঢেউ। ফের আতঙ্কিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তৃতীয় ঢেউ এর প্রভাব কেমন পড়বে, আবার লকডাউন হবে কি না এইসব নিয়ে শুরু হয়েছে ভাবনা, স্বাভাবিক ভাবেই এসবের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। এবার করোনার তৃতীয় ঢেউকে ঘিরে আশঙ্কা এবার থাবা বসাতে শুরু করেছে অর্থকরী ফসল পাটে। গত কয়েকদিনে কুইন্টাল পিছু পাটের দাম কমে গিয়েছে প্রায় তিন হাজার টাকা। গতবার ভালো দাম মেলায় এবার আরও বেশি করে পাট চাষ করেছিলেন চাষিরা। পাট উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু হটাত করে দাম কমে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের পাট চাষিদের। মহাজনের কাছে ঋন, ধার দেনা করে পাট চাষ করেন অধিকাংশ চাষি। ফলে দাম আরও কমলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে চাষিদের। করোনার জন্য জুট মিলে চাহিদা কমে যাওয়ায় পাটের দাম কমছে বলে কৃষি দফতর ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়া বিপাকে পড়েছেন চড়া দামে পুরনো পাট মজুত করে রাখা ছোট-বড় ব্যবসায়ীদেরও অনেকেই।কৃষি দফতর ও চাষিদের সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল মহকুমার ৬টি ব্লকে ২২ হাজার হেক্টরে পাট চাষ হয়েছে। আগের তুলনায় চাষের খরচ অনেক বেড়েছে। কিন্তু গত বছর ১০ হাজার টাকা ক্যুইন্টাল দাম মেলায় এবারে আরও বেশি করে পাট চাষের দিকে ঝুকেছিলেন চাষিরা। প্রতিটি ব্লকেই চাষ বেড়েছে দু থেকে আড়াই হাজার হেক্টর।

উমিমুল হক নামে এক পাট চাষী বলেন,” পাট চাষের খুব ক্ষতি হয়েছে। পাটের দাম কমে গেছে। তারপর ঝড়-বৃষ্টিতে চাষের ক্ষতি হয়েছে। চাষের যেটা খরচ সেটাই আমরা তুলতে পারছি না। সরকারের কাছে অনুরোধ করছি যাতে আমাদের পাশে দাঁড়ায়। না তো আত্মহত্যা ছাড়া পথ থাকবে না। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধাও পাইনা।”

আব্দুস সালাম নামে আরেক পাটচাষি বলেন,” পাটের জমিতে জল উঠে গেছে। পাট ধোয়া যাচ্ছে না। এদিকে বাজারে দাম নেই। মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে চাষের। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন উনি যাতে পাট চাষীদের জন্য ভাবেন। আমরা কৃষক বন্ধু থেকেও বঞ্চিত।”

স্থানীয় বিধায়ক তজমুল হোসেন বলেন,” কেন্দ্র সরকার ন্যায্য মূল্য দিচ্ছে না পাটের। পাটকল গুলি বন্ধ। কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী কেন্দ্র। মমতা ব্যানার্জির সরকার কৃষক দরদী। পাট চাষীদের কথা আমি বিধানসভায় তুলব। অনেকেই কৃষক বন্ধুর সুবিধা পেয়েছে। ১৬ ই আগস্ট থেকে আবার দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু হবে। যারা পায়নি তাদের আবেদন করতে বলব।”

হরিশ্চন্দ্রপুরে পাট চাষীদের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। একে করোনার ফলে বাজার মন্দা।তারপর ঝড় বৃষ্টির ফলে ক্ষতি হয়েছে ফসলের।এই অবস্থায় সরকারের উচিত পাট চাষীদের কথা ভাবা।সাথে যে সমস্ত কৃষক এখনো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পায়নি তাদের দিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *