ছোট খাটো ডোবায় পরিণত পি ডব্লিউ ডি সড়ক,চরম ভোগান্তির শিকার ক্ষোভে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

বিদ্যুৎ কান্তি বর্মন,সিঙ্গিজানি,২৬ সেপ্টেম্বর:-
দুই বছর আগেই পাকা রাস্তার পিচ উঠে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়ে ছিল।বর্ষার শুরুতে ওই ভাঙা রাস্তায়  জল জমে ছোটখাটো পুকুরে পরিণত হচ্ছে। রাস্তাটির অবস্থা বর্তমানে এতটাই খারাপ যে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো অসম্ভব। রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচলতি মানুষ।

মাথাভাঙা দুই নং ব্লকের বড়শৌলমারী জিগাবাড়ির ঘাট  পঞ্চানন মোড় থেকে কাউয়ার ঘাট জলঢাকা নদী বাঁধ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার পাকা রাস্তা বেহাল দশা।

উল্লেখ্য,জানা যায় ২০১৮ সালে, অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে দুটি স্কিমে দুটি পাকা রাস্তা মেরামত করার উদ্যোগ নিয়েছিল পূর্ত (সড়ক) দপ্তর। তবে একটি রাস্তা কাজ পুরোপুরি ভাবে সম্পন্ন হলেও মুকুল ডাঙ্গা দেওয়ানবস বাসির একমাত্র পথ চলতি পঞ্চানন মোড় থেকে কাউয়ার ঘাট পর্যন্ত পাকা রাস্তা কোন ভাবেই মেরামত হয় হয়নি বা হচ্ছে না বলে স্থানীয় সূত্রে জানায়। অপরদিকে পঞ্চানন মোড়-কাউয়ার ঘাট পাকা রাস্তার কাজ শুরু  প্রথমেই হোঁচট খায় পূর্ত দপ্তর কারণ যখন রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেয় তখন ওই রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা আওতায় ছিল। তাই  রাস্তা তৈরি নতুন করে কোনো নির্দেশিকা না থাকায় কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই  বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠে তাহলে পূর্ত দপ্তর অনুমতি ছাড়া কি করে রাস্তার কাজ এর সূচনা করে ?

অপরদিকে বিজেপি 5 নং জিপি মন্ডল সভাপতি বিশ্বরূপ রায় জানান শাসক দলে তৃণমূল রয়েছে অতএব তারাই রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ করছে বর্তমানে।কিন্তু তারা তা না করে বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কাজ করছে এবং বিভিন্ন রাস্তার বিল পাস করে নিয়ে কাজ না করেই নেতারা পকেটের টাকা ভরছে এখানেও তাই হয়েছে।বর্তমানে  রাস্তাটির এতটাই বেহাল যে বাইক নিয়েও ঠিকমতন চলাচল করা যাচ্ছে না ।আর এই বেহাল রাস্তার ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে তারা রাজনীতি করে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করছে। সাধারণ মানুষ বুঝে গেছে একুশে জবাব দেবে।

অপরদিকে এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মাথাভাঙ্গা বিধানসভার কনভেনার হরিপদ মিত্র জানান কে কি বলছে আমরা তা জানি না এই কাজটি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদ  করেছিল। পরবর্তীতে এই কাজটি পূর্ত দপ্তর কে দেওয়া হয়। পূর্ত দপ্তর রিপেয়ারিং এর জন্য কালভার্ট ও তৈরি করে পরবর্তীতে পুরো রাস্তা পাকা করার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদের কাছে গেলে তারা  কাজের লিখিত কোনো অনুমোদন দেয় না। ফলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার লিখিত কোনো অনুমোদন না পাওয়ায় শুধুমাত্র কালভাট তৈরীর বিল নিয়ে কাজ করবেনা বলে জানায়। পরবর্তীতে আমরা সকলেই সভাধিপতির কাছে  দ্বারস্থ হই এবং কোচবিহার পি ডব্লিউ ডি অফিসারের সাথে কথা বলি। তিনি জানান কাজটিকে নতুন করে আবার শুরু করা হবে নতুন টেন্ডার এর মধ্য দিয়ে। এ বিষয়ে সভাধিপতি আমাদের আশ্বাস দেয়, তবে বর্তমানে কতদূর কি রয়েছে এই মুহূর্তে জানা নেই।

এ বিষয়ে কোচবিহার জেলা সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন জানান পূর্ত দপ্তর এর পুরোন সিডুলের কাজটি শুরু হয়েছিল  ঠিকই তবে কয়েকটি কালভার্ট  তৈরি পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার চিঠির মাধ্যমে জানায় বাকি কাজটি তারা করতে তারা পারবেনা। পরবর্তীতে পি ডব্লিউ ডি রোড ও পি ডব্লিউ ডির মধ্যে কথা হয় পুরোন পি ডব্লিউ ডি যে কাজটি রয়েছে  তা পি ডব্লিউ ডি রোড সিতে যুক্ত করা হবে। কিন্তু এখনও তা করা হয়নি। সদ্য একমাস আগেই পি ডাব্লু ডি নতুন একজন এক্সটিভ ইঞ্জিনিয়ার এসেছেন ওনার সাথে কথা হয়েছে তিনি চেষ্টা করছেন দ্রুত পুরনো সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এর কাজটি বাতিল করে পুনরায় নতুন টেন্ডার ডাকার। পুরনো ঠিকাদার কাজটি ছেড়ে দেওয়ায় এরকম সমস্যা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি নিজেই যোগাযোগ রাখছি রাস্তার কাজটি পুনরায় শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব কাজটি শুরু হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *