জন সংযোগ যাত্রার আওতায় ২০০০ কিলোমিটারের যাত্রাপথ সম্পূর্ণ করলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
রাজ্য: ১২ই মে
কোচবিহার থেকে শুরু হওয়া যাত্রা বীরভূমে এসে পৌঁছেছে। এই যাত্রা তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচির অঙ্গ, যা গত ২৫ এপ্রিল শুরু হয়েছিল। গত ১৭ দিনে জন সংযোগ যাত্রা আটটি জেলায় পৌঁছে গিয়েছে। এগুলি হল, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৫০টিরও বেশি জনসভা, ৩৫টিরও বেশি বিশেষ অনুষ্ঠান এবং একাধিক বিরাট রোড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃণমূল স্তরের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করাই এই প্রচার কর্মসূচির উদ্দেশ্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই কর্মসূচির অংশ হিসাবে পালিত সমস্ত অনুষ্ঠানেই বিভিন্ন বয়সের মানুষ তাঁদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলে নব জোয়ারকে জন জোয়ারে পরিণত করেছেন। ৩,৩৪৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ইতিমধ্য়েই ১,০০৬টিরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছে গিয়েছে জন সংযোগ যাত্রা। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির মানুষের নিরন্তর সমর্থন ছাড়া এটি অর্জন করা সম্ভব ছিল না। রাজ্যের প্রতিটি বাসিন্দার কাছে পৌঁছে যেতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করছেন। প্রথম প্রয়াসেই তৃণমূল কংগ্রেস অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে এই ধরনের পদযাত্রা আয়োজনের দিশা দেখাচ্ছে। এই যাত্রার ব্যাপকতা আগামী দিনে দীর্ঘমেয়াদী প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার পথ প্রস্তুত করছে। যাত্রা ছাড়াও এই প্রচার অভিযানের অন্য কর্মসূচি, অর্থাৎ ‘গ্রামবাংলার মতামত’ প্রবলভাবে মানুষের আকর্ষণের কারণ হয়ে উঠেছে। এই ব্যবস্থাপনায় তৃণমূল স্তরের মানুষও রাজ্যের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এইভাবেই, মহাত্মা গান্ধীর ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে পঞ্চায়েত স্তরে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শক্তিশালী প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে।