জলপাইগুড়ি শহরের কাছে ‘প্রদীপের তলায় অন্ধকার’—ভগ্নপ্রায় ব্রিজ ও বেহাল রাস্তায় অতিষ্ঠ কয়েক হাজার মানুষ
জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি শহরের একেবারে কাছেই বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শুকুরপাড়া, কায়েতপাড়া, চুরুইমারি, চওড়াপাড়া, বক্সিপাড়া ও বানিয়াপাড়ার মানুষ আজ জীবন বাজি রেখে যাতায়াত করছেন। ভগ্নপ্রায় মান্ধাতার আমলের সরু ব্রিজ আর বিপজ্জনক রাস্তাই তাঁদের একমাত্র ভরসা। রাস্তায় নাকি উন্নয়নের চাবিকাঠি! আর সেই রাস্তায় এখানে বিপদজনক!
গ্রামে রয়েছে স্কুল-কলেজ, প্রতিদিন ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে এই সেতু পেরোতে হয় ভয় নিয়ে। একটি বাইক গেলে অন্য বাইক দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, টোটো খাড়া ঢালে উঠতে পারে না—ঠেলে তুলতে হয়। এম্বুলেন্স বা ডোমকলের গাড়ি ঢোকা কার্যত অসম্ভব। ফলে জরুরি পরিস্থিতিতেও মানুষ অসহায়। গ্রামে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ভগবানই যেন ভরসা!
এলাকার বাসিন্দা টুটুল সরকার জানিয়েছেন, “ভয়ঙ্কর রাস্তায় দুর্ঘটনা লেগেই আছে, গ্রামবাসীর জীবন অতিষ্ঠ, জীবন বাজি রেখেই ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে কয়েক হাজার গ্রামবাসী এই রাস্তা ব্যবহার করছে, অতি দ্রুত এর সমাধান না হলে আমরা রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হব।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য হরিদাস রায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ভোট এলে নেতা-নেত্রীরা আসেন, আশ্বাস দেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। বিধায়ক থেকে সাংসদ—সবার কাছে বলা হয়েছে, তবুও উন্নয়নের ছোঁয়া আসেনি।”
বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাণীনগর শিল্পাঞ্চলের এত কাছে থেকেও এই সব গ্রামে উন্নয়ন যেন অধরাই। ভগ্নপ্রায় ব্রিজ ও রাস্তা দেখে সত্যিই মনে হয়—“প্রদীপের তলায় অন্ধকার।”
