ডাম্পিং গ্ৰাউন্ডের দাবি দেওয়ানগঞ্জ হাটে
বিষ্ণুপদ রায়, হলদিবাড়ি; বাজারের আবর্জনা তথা দূষণের হাত থেকে নিস্তার পেতে দীর্ঘদিন দাবি জানিয়েও মেটেনি ডাম্পিং গ্ৰাউন্ডের সমস্যা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে নির্মল বাংলা দেওয়ানগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে। বাজারে আবর্জনা নিদির্ষ্ট স্থানে ফেলা হোক, চাইছেন বাজারের আগত ক্রেতারাও। আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ দাবি তাদের। দেওয়ানগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে খবর ছোটো বড়ো মিলিয়ে শতাধিক স্থায়ী দোকান রয়েছে দেওয়ানগঞ্জ বাজারে। সপ্তাহে দুই দিন রবিবার ও বুধবার বসে হাট।হাটের দিনগুলিতে দোকানের সংখ্যা দাঁড়ায় দুই হাজারের মতো। হাটের দিন বাদে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এই বাজারে। হলদিবাড়ি ব্লকের প্রাচীনতম হাট বলে পরিচয় আছে এই বাজারের।অথচ এত বড়ো বাজারের আবর্জনা ফেলার জন্য নেই কোনো ডাম্পিং গ্ৰাউন্ড। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ বাজারের ক্রেতা -বিক্রেতা ।ডাম্পিং গ্ৰাউন্ড না থাকায় বাজারের যেখানে সেখানে আবর্জনা জমে থাকছে। সবজি ও মাছের বাজারে আবর্জনার স্তূপ থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে। ফলে বাজারের পরিবেশ দারুণ ভাবে দূষিত হচ্ছে বলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অভিযোগ। দুর্গন্ধর জন্য বাজার ঢোকাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে বাজারে আগত ক্রেতাদের অভিযোগ। ব্যবসায়ীরা জানান, ডাম্পিং গ্ৰাউন্ড না থাকায় তাঁরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই এই কাজ করেছেন। দেওয়ানগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মলয় ঘোষ বলেন, দেওয়ানগঞ্জ বাজার হলদিবাড়ি ব্লকের সবচেয়ে পুরোনো বাজার। আজও এই প্রাচীন বাজারে আবর্জনা ফেলার জন্য গড়ে ওঠেনি স্থায়ী ডাম্পিং গ্ৰাউন্ড।বাজার পরিস্কার করার জন্য লোক থাকলেও তাঁরা বাজারের আবর্জনা বাজারের এক পাশেই ফেলেছেন। ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।আমাদের সমস্যার কথা স্থানীয় গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং বিডিও কে জানিয়েছি। বিষয়টি মেখলিগঞ্জের বিধায়কেও জানিয়েছি। তিনি আমাদের কথা শুনেছেন। সমস্যা সমাধানে তিনি উদ্যোগী হবেন বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। এই বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমস্যার কথা মেনে নিয়ে হলদিবাড়ির বিডিও সঞ্জয় পন্ডিত বলেন, আমরা দেওয়ানগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতিকে দ্রুত পাঁচ কাঠা জমির খোঁজ করতে বলেছি। মিলে গেলেই ডাম্পিং গ্ৰাউন্ড গড়া হবে।