তিন দফা দাবিতে হলদিবাড়ি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে দাবিপত্র তুলে দিল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি
অপু দেবনাথ, হলদিবাড়ি:সারাদেশ জুড়ে এখন করোনার সংক্রমণের জন্য কার্যত লকডাউন চলছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগই দরিদ্র পরিবার থেকে আসে। এই অবস্থায় তাদের কাছে পুষ্টির অভাব পূরণে মিড-ডে-মিল প্রকল্প একটি অত্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ। যেখানে দেশের চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে, করোনা সংক্রমণে তৃতীয় ঢেউ আসতে চলেছে। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ঢেউয়ে শিশু-কিশোরদের আক্রান্ত হতে আমরা দেখেছি। তৃতীয় ঢেউয়ে এই সম্ভাবনা আরও বেশি। তাই এই অবস্থায় তাদের পুষ্টির মাত্রা সুনিশ্চিত করতে মিড-ডে-মিল বরাদ্দ না কমিয়ে বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সমিতি।
গত২৫.০৫.২০২১ তারিখের মিড ডে মিলের নির্দেশে বলা হয়েছে, যে জুন মাসের মিড-ডে-মিলে ২০০ গ্রাম সয়াবিন কমিয়ে ১০০ গ্রাম করা হয়েছে, কমানো হয়েছে সয়াবিনের মূল্যও। অর্থাৎ, গুণমানের সাথেও আপোষ করা হচ্ছে। চিনি ৫০০ গ্রাম থেকে ২৫০ গ্রাম বরাদ্দ হয়েছে। ছোলার মত উচ্চ প্রোটিন জাতীয় শস্য সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হয়েছে।
তাই এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে মিড-ডে-মিল সংক্রান্ত তিনটি দাবি জানিয়েছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
১। মিড-ডে-মিলের বরাদ্দ কমানো চলবে না।
২। শিশুদের পুষ্টির প্রয়োজনে মিড-ডে-মিলে অন্যান্য সামগ্রীর সাথে ডিম দিতে হবে।
৩। মিড-ডে-মিল ওয়ার্কারদেরও পুষ্টিকর খাদ্য দিতে হবে।
এপ্রসঙ্গে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির হলদিবাড়ি চক্র সম্পাদক আব্দুল জলিল সরকার জানান,শিশুদের পুষ্টির সঙ্গে কখনই সরকারের আপোষ করা অনুচিত। তাই আমরা এসআই মারফত এই দাবিপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে চাই।
এই বিষয় নিয়ে এস আই জানান – দাবিপত্র পাঠানো হয়েছে । দেখাযাক তারা কি নির্দেশ দেয় ।