তিন দিন ব্যাপী মনসা পূজা

নিউজ ডেস্ক,রাজগঞ্জ, ১৮ অগাস্ট: তিন দিনব্যাপী মনসা পূজো চলছে রাজগঞ্জের গজলডোবায়। বৃহস্পতিবার প্রতিবছরের মতো স্থানীয় তিস্তা নদীতে অষ্টনাগের ভেলা ভাসানো হয়। শুক্রবারও পূজো হবে। পূজো উপলক্ষ্যে সাতদিনব্যাপী মেলা বসেছে পূজো প্রাঙ্গণে।
পূজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০০ সালে বন্যায় গজলডোবায় তিস্তার চর এলাকায় প্রচুর সাপের উপদ্রব হয়েছিল। সাপের ছোবলে দুইজন মারাও গিয়েছিল। ওই বছর স্থানীয় এক পুরোহিত গোবিন্দ চক্রবর্তীর পরামর্শে এলাকার বাসিন্দারা যৌথভাবে অষ্টনাগের পুজো করেন এবং ৮ জন কুমারী মেয়েকে কলার ভেলায় করে তিস্তা নদীতে ভাসিয়ে দেন (প্রতীকী )। তখন থেকে প্রতি বছর এই সময় মনসা পূজো করার পাশাপাশি ভেলা ভাসানো হচ্ছে। 
পুজো কমিটির সম্পাদক রঘুনাথ মন্ডল বলেন, সাপের উপদ্রব থেকে রেহাই পাওয়ার কামনায় প্রতিবছর মনসা পুজো করা হয় এবং অষ্টনাগের ভেলা ভাসানো হয়। প্রথম বছর স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের কায়িক পরিশ্রমে ছোট্ট একটি কাঠের মন্দির করে মনসা পূজো করা হয়। পরবর্তীতে মন্দিরটি পাকা করা হয়েছে। পুজোর বাজেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। ধুমধাম করে পূজো করা হয়। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।পূজো উপলক্ষ্যে মেলা বসে। ঢালাও খিচুড়ির আয়োজন ছিল। । তিনি বলেন, এখনও প্রতিবছর পূজোর দিনে মন্দিরে সাপ আসে। আগে অষ্টনাগ হিসেবে এলাকার আটজন কুমারীকে মনসা সাজিয়ে ভেলায় করে তিস্তা নদীতে ভাসানো হত। নিরাপত্তার কারণে কয়েক বছর থেকে কুমারীর বদলে আটটি পুতুলকে ভেলায় ভাসানো হচ্ছে। এলাকার সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *