তৃণমূলের কমিটি গঠন প্রসঙ্গে শীতলকুচিতে বিধায়কের মন্তব্যে হতাশায় সাধারণ কর্মীরা
সাজ্জাদ হোসেন আহমেদ, শীতলকুচি: তৃণমূল কংগ্রেসের শীতলকুচি বাজার পশ্চিম পার্টি অফিসে আজ নব ঘোষিত আটটি অঞ্চল নেতৃত্বদের নিয়ে মিটিং করেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীতলকুচি ব্লক কমিটির সহ সভাপতি সাহের আলী মিঞা ও পুন্যগোবিন্দ সিংহ। মিটিং শেষে তারা সাংবাদিক সম্মলনেরও আয়োজন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তারা বিধায়কের বক্তব্যেরও জবাব দিলেন । ওই দুই নেতা বলেন,শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন দলের কমিটি গঠন হউক,তা চায় না, কাজেই তিনি কমিটি গঠন নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছেন।
জানা যায়, গতকাল শীতলকুচি ব্লক পার্টি অফিসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় এবং গোসাইরহাটে একটি দলীয় পথসভায় বিধায়ক দলীয় কমিটি গঠন প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, তিনি বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের একটি শক্তিশালী কমিটি থাকা সত্ত্বেও আমরা হারলাম কেন বলুন তো? কাজেই দলের কোনো কমিটির প্রয়োজন নেই, শুধু নির্বাচনী একটি কমিটি থাকবে, সেই কমিটিই নির্বাচন পরিচালনা করবে। বিধায়কের ওই বক্তব্যের জবাবে সাহের আলী মিঞা বলেন, গত লোকসভা রেজাল্টের পর বিধায়ককে শীতলকুচির মাটিতে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তবে দলীয় বুথ স্তরের কর্মীদের সহযোগিতায় শীতলকুচির মাটিকে বিজেপির হাত থেকে দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সেই বুথ স্তরের এবং অঞ্চল স্তরের কর্মীদের মর্যাদা দিতেই হবে। সেকারণেই প্রতিটি অঞ্চল কমিটির মাধ্যমে বুথে বুথে কমিটি গঠন করে আসন্ন নির্বাচনে দলকে বিপুলভোটে জয়ী করতে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বারের জন্য পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় দলের নীচু স্তরের একনিষ্ঠ কর্মী ও সাধারণ মানুষও।
তবে আর যাই হোক, গতকাল দলীয় ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক হিতেন বর্মন জানান, কমিটি কমিটি নিয়ে অনেকের মাথা খারাপ। লোকসভা নির্বাচনের পরেও তো এতকিছু কর্মসুচী হয়ে গেল, যেমন- বাংলার গর্ব মমতা, দিদিকে বলো, দুয়ারের সরকার, বঙ্গধনী যাত্রা বিভিন্ন প্রোগ্রামে মানুষের ভীড় কেমন করে হলো, ওখানে তো কোন কমিটি নেই। রাজনৈতিক কাজ করতে কোনো কমিটি লাগে না। তাছাড়াও লোকসভা নির্বাচনের আগে তো শক্তিশালী কমিটি ছিল। কমিটি থাকা সত্বেও আমরা হারলাম কেন? অহেতুক কমিটি কমিটি নিয়ে অস্থির হবার কিছু নেই। শুধুমাত্র নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হবে।
তৃণমূলেরই ব্লক কমিটির আর একজন সহ সভাপতি পুন্যগোবিন্দ সিংহ বলেন, একটি পাড়ায় পুজো করতে গেলেও কমিটির প্রয়োজন হয়, কাজেই বিধায়কের ওই মন্তব্যটি অবান্তর। বিধায়ক এবং ব্লক কমিটির নেতৃত্বদের এই মনোভাবে মানুষের মনে হতাশা ও নিরাশার প্রশ্ন ওঠে এসেছে। এতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলে সংশয়, কি হবে আগামী ভবিষ্যত!