তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সহ পাঁচ কাউন্সিলরের বিরূদ্ধে বড়োসড়ো দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের

সুব্রত রায়, ধূপগুড়ি: ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সহ ৫ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শোকজ করল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী। শনিবার পুরসভায় সেই শোকজের চিঠি এসে পৌঁছায় । সূত্রের খবর সেই তালিকায় পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং , ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরুপ দে , ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌতম বসাক , ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিপ্লব ঘোষ এবং ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুনমুন বোস রয়েছেন । সোমবার অফিসে যাওয়া মাত্রই তারা সেই শোকজের চিঠি হাতে পান এবং চিঠি হাতে পেতেই দু’ঘণ্টার মধ্যে তার উত্তর পাঠিয়ে দেওয়া হয় জেলা সভাপতিকে ।

ভাইস চেয়ারম্যান সহ পাঁচ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে । উন্নয়ন মূলক কাজের থেকে পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার রাহুল দেব বর্মনের সহযোগীতায় ২০ শতাংশ কমিশন কাটমানি নেন রাজেশ কুমার সিং । এমন কি তার থেকে ৫-৭ শতাংশ করে বাকি চার কাউন্সিলর নেন । এমনকি ভাইস চেয়ারম্যানের ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে বাড়ি তৈরীর অভিযোগও করা হয়েছে চিঠিতে। শোকজের উত্তর দিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং ।

রাজেশ কুমার সিং বলেন , উত্তর দেওয়া হয়েছে । উনার কাছে কি জানতে চাওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজি নন রাজেশ বাবু। তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার রিপোর্ট সাত দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে এবং সত্যতা প্রমান করতে হবে । তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের শোকজের উত্তর দেওয়ার জন্য ৪৮ ঘন্টা সময়সীমা দেওয়া হলেও দু ঘন্টার মধ্যেই উত্তর পাঠিয়ে দেন।

শোকজ নিয়ে ইতিমধ্যে জল ঘোলা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। কারণ স্থানীয়ভাবে শাসক এবং বিরোধী দল কিন্তু কখনো পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলতে পারেনি। ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরুপ দে বিভিন্ন সময় দূর্নিতি , জলাশয় ভরাট , মানুষ কে মারধর বেনামি সম্পত্তি করার অভিযোগ উঠলেও । তাহলে স্থানীয় তৃণমূল অথবা বিরোধী দের কাছে কোনো অভিযোগ না থাকলেও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব তাকে শোকজ করল কেনো ? একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে শোকজে সেই নিয়েও কিন্তু গুঞ্জন শুরু হয়েছে তৃনমূলের অন্দরে ।

এদিকে সোমবার বিকেল বেলা দূর্নিতির অভিযোগ তুলে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং এবং চার কাউন্সিলর সহ পুরোবর্ডের পদত্যেগ দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে । আর তাকে নিয়েই রন ক্ষেত্রের চেহারা নেয় ধূপগুড়ি । বিশাল পুলিশ বাহিনী র‍্যাফ মোতায়েন করা হয় শহরে । বিজেপি এর মিছিল মাঝ পথেই আটকে দেওয়া হয় । আটক করা হয় বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক কে । বিনা অনুমতিতে মিছিল বের করায় ।

তৃণমূল কাউন্সিলর গৌতম বসাক বলেন , তৃণমূল দলের কিছু কিছু নেতৃত্ব বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তাই এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।
তৃনমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী বলেন , দলের আভ্যন্তরিন ব্যপারে আমি কোনো প্রতিক্রিয়া দেবো না । যা বলার হাইকমান্ড বলবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *