দূর্নীতি প্রমাণ করতে তৃনমূল বিজেপি এক জায়গায়

নিউজ ডেস্ক,মালদা : বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে জোট বাঁধল তৃণমূল-বিজেপি।সোলার লাইটে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে সরব তার দলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা।গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যদের সাথে ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের।গোটা অভিযোগ নাকি ভাগাভাগির বিষয়!এমনই মন্তব্য মন্ডল বিজেপি সভাপতির। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা মানিকচক ব্লক এলাকায়। এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত বিজেপি পরিচালিত মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত।প্রধান রয়েছে বিজেপি সদস্য মিলন মন্ডল।প্রধানের বিরুদ্ধে সোলার লাইট লাগানকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের।মানিকচক ব্লক বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সঠিক ব্যবস্থার আবেদন।

পঞ্চায়েত সূত্রে জানাগেছে,মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ৫১ টি সোলার লাইট লাগানোর কাজ চলছে।পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে এই সোলার বাতিস্তভ লাগানোর কাজ চলছে।এই বাতিস্তভ পিছু ৪০ হাজার টাকা ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ অভিযোগকারীদের।কিন্তু যার মূল্য ১৫ হাজার বলে দাবি অভিযোগকারীদের।প্রতিটি বাতিস্তম্ভে প্রধান সহ পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মীরা ২৫ হাজার টাকা করে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ।পাশাপাশি এই বাতিস্তভ গুলি অতিনিম্নমানের।বেশিরভাগ বাতিস্তভ জ্বলেই না বলে অভিযোগ।এই সমস্ত ক্ষেত্রে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে,ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মানিকচক ব্লক বিডিও জয় আমেদ।এদিকে নিজের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিজেপি প্রধান মিলন মন্ডল।তিনি জানান,যারা অভিযোগ করেছে তারা কাটমানি চেয়েছিল এবং টেন্ডারে দুর্নীতি করতে বলেছিল।তা না করাই এমন অভিযোগ ব্লক প্রশাসনের কাছে করেছে।

যদিও গোটা বিষয়ে অভিযোগকারী দলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে সুর ছড়িয়েছেন বিজেপির মন্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ মন্ডল।তিনি জানান, দলকে না জানিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে কিছু বিজেপির তিনজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এই সমস্ত বিজেপির টিকিটে জেতা সদস্যরা দলের সঙ্গে কোনো রকম সম্পর্ক রাখে না। তোরা এখন বিজেপি আছে না অন্য কিছু হয়েছে তা বোঝা যায়না।কাটমানির ভাগাভাগি পাইনি তার জন্য হয়তো এই সমস্ত অভিযোগ। পঞ্চায়েত সমিতির এই সমস্ত সদস্যরা নিজেদের বড় বড় নেতা ভাবে।তবে যে অভিযোগ রয়েছে প্রশাসন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *