দূর দূরান্ত থেকে ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে এসে ভোগান্তির সম্মুখীন চাষীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: ৩০শে নভেম্বর ,সার্ভার সমস্যায় হলো না ধানের বিক্রি, আবার ধান বিক্রি করতে প্রতি কুইন্টালে দিতে হচ্ছে ৫ কেজি ধলতা, যার প্রতিবাদে ধান রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ চাষীদের, তৃণমূলকে কাটমানি দেওয়ার জন্য ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান খোঁচা বিজেপির, পাল্টা সাফাই তৃণমূলের।মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান চাষ করেন চাষিরা।সেই ধান বিক্রির উপর নির্ভর করেই চলে তাদের সারাটা বছর। এবার সেই ধান রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ চাষীদের। সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার।মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা জনিত কারণে সারাদিন বসে থেকেও বিক্রি হল না চাষীদের ধান।আবার ধান বিক্রি করতে গেলে কুইন্টাল প্রতি দিতে হচ্ছে ৫ কেজি করে ধলতা। অর্থাৎ এক কুইন্টাল ধান বিক্রির জন্য দিতে হচ্ছে ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান। চাষীদের অভিযোগ যা সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে নেওয়া হচ্ছে।এরই প্রতিবাদে ধান ক্রয় কেন্দ্রের সামনে ধান ফেলে বিক্ষোভ চাষীদের। প্রশ্নের মুখে মিলারদের (রাইস মিল) ভূমিকাও। ৫ কেজি ধান তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দেওয়ার জন্য, খাদ্য দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা বিজেপির। পাল্টা সাফাই তৃণমূলের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটল এলাকায় সরকারি ধানক্রয় কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ হয়। চাষীদের অভিযোগ তারা দূর-দূরান্ত থেকে এসে ছিলেন ধান বিক্রির জন্য।ধান নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট ভাড়াও খরচ হয়েছে।এই ধান বিক্রির অর্থের ওপর নির্ভর করে তারা পরবর্তী চাষের খরচ যোগাবেন।কিন্তু সকাল থেকে বসে থেকেও তারা বিক্রি করতে পারছেন না ধান। কারণ ওই ধান ক্রয় কেন্দ্রের ম্যানেজার জানাচ্ছে মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা রয়েছে।যার ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন হয় চাষিরা।যদিও জানা গেছে পরবর্তীতে স্লিপ দিয়ে ধান নেওয়া হয়েছে।চাষীদের আরো অভিযোগ ধান বিক্রি করতে গেলে প্রতি কুইন্টালে ৫ কেজি করে ধলতা দিতে হচ্ছে মিলারদের।অর্থাৎ ওই সরকারি কেন্দ্রে ধান ক্রয় করছেন যে রাইস মিল মালিকরা তারাই এই ধলতা নিচ্ছে।কিন্তু প্রতি কুইন্টালে এই অতিরিক্ত পাঁচ কেজি ধান দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। এতে আধিকারিকদেরও জোকসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ।এই নিয়েই রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাষিরা।এদিকে সমগ্র ঘটনা নিয়ে বিজেপির দাবি তৃণমূল নেতারা এখান থেকেও কাটমানি নেয়।তাই ৫ কেজি করে অতিরিক্ত ধান দিতে হচ্ছে।প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও খোঁচা। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবী চাষীদের কথা মমতা ব্যানার্জির সরকার ভাবে। তাই ন্যায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে।সমস্যা হলে সেটা তারা মিল মালিকদের বলবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *