ধিক্কার জানিয়ে কালা দিবস পালন
নিউজ ডেস্ক, শিলিগুড়ি: কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টির পক্ষ থেকে শনিবার শিয়াভিটা প্রাথমিক স্কুল মাঠে কালা দিবস পালন করা হল। এদিনের এই অনুষ্ঠান কেপিপি-র সভানেত্রী মেনকা রায়, মানু – সহলাল মূর্তিতে মালা পড়িয়ে জাতীয় পতাকা আরও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুভারম্ভ করা হয়। কেপিপি-র কেন্দ্রীয় মুখ্যপাত্র চন্দন সিংহ জানান
বিগত বামফ্রন্ট সরকারের শাসনে কামতাপুরি ভূমিপুত্রদের উপর “কামতাপুর অপারেশন” চালায়। উক্ত কামতাপুর অপারেশনে সারা উত্তরবঙ্গের সরল সাদা সিধে এবং নিরপরাধ দরিদ্র ব্যক্তিদের রাতের অন্ধকারে জেলে পুড়ে দেওয়া হত দেশদ্রোহীর মত বহু মিথ্যা মামলা দিয়ে। শুধু তাই নয় কামতাপুর অপারেশন চালানোর দিন (গত ২৭ শে নভেম্বর ২০০০) সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশ কম বয়সি দুজন স্কুল পড়ুয়াকে রাতের অন্ধকারে পুলিশ ভ্যানে তুললে তারাবান্ধা গ্রামবাসীরা ছাত্র-ছাত্রীদের ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানায়।পুলিশ তাদের ছেড়ে দিতে অস্বীকার করে। বহু আবেদন নিবেদন করেও পুলিশ তাদের ছাড়েনি। আশপাশের বহু গ্রামবাসী জমায়েত হয়। পরবর্তীতে বহু রাত গড়িয়ে যায়। অবশেষে তৎকালীন পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তাদের নির্দেশে বহু র্যাফ এবং কামান্ডো নামিয়ে কোনরুপ সমাধান সুত্র বার না করে লাঠি লার্জ সহ এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বহু লোক পুলিশের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং দূ তিন জন পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এই ত্রাসের সঙ্গে সঙ্গে পাশের গ্রামে দলে দলে পুলিশ বাড়িতে ঢুকে ঘরবাড়ী আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর চালায়। পরবর্তী সময়ে উপরিউক্ত গ্রাম গুলিতে চিরুনি তল্লাশির নামে বহু পুলিশী নির্যাতন চলে। পুলিশের ত্রাসের কারনে বহু মানুষ ঘর ছাড়া থাকতে বাধ্য হয় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা এলেকায়। বহুদিন বাদে মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ উক্ত এলাকায় পুলিশের আতঙ্ক বন্ধ হয়। এই ঘটনাকে নিন্দা ও ধিক্কার জানানোর জন্যেই আমরা এদিন ২১ তম কালা দিবস পালন করলাম। আগামী কাল ২৮ শে নভেম্বর শিয়াভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠেই ২১ তম “মানু আরও সহলালের” শহীদ দিবস উপলক্ষে জনসভা করা হবে।