ধূপগুড়িতে “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচিতে প্রথম দিনে হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ
সুব্রত রায়, ধূপগুড়ি : “দুয়ারে সরকার” জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে রাজ্য সরকারের নতুন এই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিলো কিছুদিন আগে। মঙ্গলবার সারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি তার ক্যাম্প শুরু হলো জলপাইগুড়ি জেলাতেও । “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচিতে প্রথম দিন জলপাইগুড়ি জেলায় ১৪ টি শিবির করা হয়। জলপাইগুড়ি পৌরসভা, ধূপগুড়ি ব্লকের ধূপগুড়ি পৌরসভা ও দুটি গ্ৰাম পঞ্চায়েত, মালবাজার মহকুমায় মালবাজার পৌরসভা ও তিনটি গ্ৰাম পঞ্চায়েত, ময়নাগুড়ি ব্লকের দুটি গ্ৰাম পঞ্চায়েত, রাজগঞ্জ ব্লকের দুটি গ্ৰাম পঞ্চায়েত এবং সদর ব্লকের দুটি গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই শিবির করা হয়। জেলার সর্বত্র “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে ।এদিন ধূপগুড়ি পৌরসভা ও ব্লকের দুটি গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায় “দুয়ারে সরকার” এর শিবির করা হয়। সকাল ১১টা থেকে পৌরসভা কার্যালয়ে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য বসেছেন। এদিন পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভাব অভিযোগ শুনে তার সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে এবং আগামীকাল বাকি ৭ টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য পৃথক ভাবে এই “দুয়ারে সরকার” ক্যাম্প বসানো হবে। কোভিড পরিস্থিতির জন্য দুটি পৃথক তারিখে এই ক্যাম্প করা হয়েছে । এদিন সর্বত্র সাধারণ মানুষ তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য শিবির গুলোতে ভিড় করেন। তবে প্রথমদিন বেশ কিছু জায়গায় সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। ধূপগুড়ি পৌরসভার “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচিতে নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে এসে হয়রানির শিকার হতে হলো বহু মানুষকে। খাদ্য দপ্তরের সার্ভার বসা থাকায় আধিকারিকদের কাজ করতে সমস্যা হয়। এমনকি অনেকেই অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বাড়ি ফিরে যান। বেশ কিছুক্ষণ পর সার্ভার ঠিক হলে আবার কাজ শুরু করা হয়। ধূপগুড়িতে রেশন কার্ডের সমস্যা সমাধানের জন্য আসা দীপঙ্কর বসাক জানান, ” সার্ভারের নাকি সমস্যা। লাইনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। আপাতত বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।”খাদ্য দপ্তরের শিবিরে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বাবাই কর্মকার জানান, ” সার্ভারের সমস্যার জন্য কিছু সময় কাজ বন্ধ ছিল। তবে এখন ঠিক করা হয়েছে এবং কাজ চলছে। “