নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েই দুর্গম এলাকা থেকে চা বাগানের বস্তি, ছুটছেন বিডিও প্রশান্ত বর্মন

বিনয় নার্জিনারী, কালচিনি: নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েই কালচিনি ব্লকের বিডিও প্রশান্ত বর্মন দীন দরিদ্র থেকে আর্ত পীড়িত খোঁজ নিচ্ছেন প্রত্যেকের। ব্লকের দুর্গম বক্সা পাহাড় থেকে পশ্চাদপদ চা বাগানের কোনায় কোনায় ছুটছেন তিনি। দরিদ্র মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে রুপশ্রী প্রকল্পের আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়াই নয়, নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নব বিবাহিত দম্পতিকে আশীর্বাদও করছেন। চা বাগান, বন ও পাহাড় ঘেরা কালচিনি ব্লকের মানুষ এমন একজন প্রশাসনিক আধিকারিককে পেয়ে খুশি। তারা তাদের মনের কথা অবলীলায় প্রকাশ করছেন ব্লক আধিকারিক প্রশান্ত বর্মনকে।

একসময় হাই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন প্রশান্ত বাবু। ডব্লিউবিসিএস পাশ করে প্রশাসনিক পদে আসার ইচ্ছে ছিল আগে থেকেই। সেই ইচ্ছে পূরণ হতেই কালচিনি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক হয়ে আসলেন কোচবিহারের এই যুবক। নিজে রাজবংশী পরিবারের, তাই শৈশব থেকেই উত্তরবঙ্গের মানুষের শোষণ, বঞ্চনার করুন চিত্র দেখেছেন। ব্লকের প্রধান প্রশাসনিক কর্তা হয়ে আসার পর তিনি সকল দরিদ্র, পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে যাচ্ছেন ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে।
গত শুক্রবার ব্লকের তিনটি পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপহার নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। রুপশ্রী প্রকল্পে ঊসরকারের আর্থিক সহযোগিতা পায় ঐ তিনটি পরিবার। বিবাহ অনুষ্ঠানে এসে পাত্র ও কনে পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়াও নিমতি এলাকায় দূর্ঘটনাগ্রস্ত একটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। শনিবার দিন ব্লকের রাজাভাতখাওয়া অঞ্চলের দূর্গম বক্সা পাহাড়ের বাসিন্দাদের জন্য একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্প উপহার দিলেন তিনি। বিডিও প্রশান্ত বর্মনের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন প্রায় সকলেই। তবে বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন, “যতদিন তিনি থাকবেন ব্লকের মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন, মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *