নাজিরহাটে চাঞ্চল্য! বেলবাড়ি বাজারে মধুচক্র ও মদের আড্ডা হাতেনাতে ধরল গ্রামবাসীরা!
রাহুল দেব বর্মন,দিনহাটা : নাজিরহাটে চাঞ্চল্য! বেলবাড়ি বাজারে মধুচক্র ও মদের আড্ডা হাতেনাতে ধরল গ্রামবাসীরা! বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ নাজিরহাট এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নগর শেওরাগুড়ি বেলবাড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় এক বাড়িতে অবৈধ মদের ব্যবসা ও মধুচক্র চালানোর অভিযোগ ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিনের সন্দেহের ভিত্তিতে এদিন ওই বাড়িতে হানা দেন এবং বাড়ির মালিক সহ দুই মহিলাকে হাতে-নাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বহুদিন ধরেই ওই বাড়ি থেকে সন্দেহজনক কার্যকলাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। প্রথমদিকে মৌখিকভাবে বাড়ির মালিককে সতর্ক করা হলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। বরং পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে, বিশেষ করে এলাকার পরিবেশ ও স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় গ্রামবাসীরা এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন।
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কুমার প্রশান্ত নারায়ণ জানান, “এই বাড়ির মালিক মানিক মোদকের বিরুদ্ধে আগেও অবৈধ মদের ব্যবসার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁকে সতর্ক করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। সম্প্রতি খবর আসে, বাইরে থেকে দুই মহিলাকে এনে ওই বাড়িতে দেহ ব্যবসা শুরু করেছে সে। আমি নিজে গ্রামবাসী,বিশেষ করে মহিলাদের অনুরোধ করি বিষয়টি নজরে রাখতে। আজ সকালের অভিযানে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যায়।”
তিনি জানান, গ্রামবাসীরা পরিকল্পনা করে আজ সকালে ওই বাড়িতে হানা দেন। প্রচুর পরিমাণে মদের বোতল, অবৈধ কার্যকলাপের প্রমাণ ও অভিযুক্ত মহিলাদের তারা হাতেনাতে ধরেন। পরে ঘটনাস্থলে খবর দেওয়া হয় নাজিরহাট ক্যাম্পে, পুলিশ এসে অভিযুক্তদের আটক করে। নাজিরহাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রূপালী বর্মন বলেন, “মানিক মোদকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল। তাকে বারবার সতর্ক করা হলেও সে শোনেনি। বরং আরও বেপরোয়া হয়ে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। আমরা পরিকল্পনা করে তাকে ধরে ফেলি। এখন আমাদের একটাই দাবি—এদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।”
গ্রামের মহিলারা ইতিমধ্যেই গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন। তাঁরা সাহেবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে চলেছেন। তাঁদের একটাই বার্তা—“এই ঘটনা যেন অন্য কোনও গ্রামে না ঘটে, তার জন্য অপরাধীদের কঠোর শাস্তি চাই।”
