নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করার অভিযোগ দুই যুবকের বিরুদ্ধে, দেহ ব্যবসা করানোর উদ্দেশ্যে কি অপহরণ? সন্দেহ মায়ের…

হরিশ্চন্দ্রপুর, ২৬ জুন:-

মুখে কাপড় বেঁধে জোরপূর্বক বাইকে তুলে এক নাবালিকাকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠলো মালদহের রতুয়া বাহারাল কলোনী এলাকার দুই যুবকের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে ২২ জুন সন্ধ্যা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার খিদিরপুর গ্রামে। অপহৃতা নাবালিকার মা সালেখা বেওয়া শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অপহরণকারী দুই যুবক সহ মোট পাঁচ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত দুই যুবকের নাম সেখ সাবির(২১) ও সেখ সেরাজুল (৩২)। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।এখনও পর্যন্ত অপহৃতা নাবালিকা ও অভিযুক্ত দুই যুবকের কোনো খোঁজ পাইনি পুলিশ।

নাবালিকার মা সালেখা বেওয়া জানান তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে।ওই নাবালিকা ছোটো মেয়ে।বড়ো মেয়ে ও এক মাত্র ছেলের বিয়ে হয়ে গেছে।১৮ জুন তার এক আত্মীয় অসুস্থ হয়ে কাটিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে দেখতে চলে যান এবং আত্মীয়ের সেবা যত্নের জন্য হাসপাতালে তিনদিন থেকে যান।বাড়িতে রেখে যায় তার ছোটো মেয়ে‌ ও বৌমাকে। ২২ জুন সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ ওই নাবালিকা গ্রামের এক মুদির দোকান থেকে জিনিস কিনে বাড়ি মুখি আসার পথে ওই দুই যুবক তার পথ আটকায় এবং মেয়ের মুখে গামছা বেঁধে জোরপূর্বক বাইকে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে জানতে পারেন তার বৌমা রিনা বিবির কাছ থেকে।বৌমা চিৎকার চেঁচামেচি‌ করেও তাদেরকে আঁটকাতে পারেন নি। ওই দুই যুবক তার বৌমার আত্মীয় হয়।পূর্বে কোনো দিন তাদেরকে খিদিরপুর এলাকায় দেখা যায় নি।পরিবারের লোকেরা অনেক খোঁজাখুঁজি শুরু করেন৷ কিন্তু ওই নাবালিকার কোনও সন্ধান পাননি।বাধ্য হয়ে শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নাবালিকার মা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আরো জানান তার মেয়ের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না।কিন্তু কি উদ্দেশ্যে তারা তার মেয়েকে অপহরণ করেছে এবং কোথায় নিয়ে গেছে তা তিনি কিছুই জানেন না। গ্রামবাসী সূত্রে জানতে পারেন তারা দীর্ঘদিন ধরে ভিন রাজ্যে যাতাযাত করে।নারীপাচার কান্ডেরর‌ সঙ্গে তাদের একটা যোগাযোগ রয়েছে ‌বলে‌ অনুমান।এলাকা থেকে নাবালিকা মেয়ে অপহরণ করে তারা দেহ-ব্যবসার কাজে লাগায় বলে জানতে পারেন।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *