নির্মানের চার মাসের মধ্যে ভেঙ্গে গেল কালভার্ট, মুখ খুলতে নারাজ এন এস
বিদ্যুৎ কান্তি বর্মন, সিঙ্গিজানি,২৬জুলাই:
নির্মাণ করার চার মাসের মধ্যেই দুই দিনের বৃষ্টিতে ভাঙলো কালভার্ট। অনিয়মিত নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করল এলাকাবাসীরা। এমনই ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় এলাকাবাসীর রঞ্জন রায় ,জয়ন্ত বর্মন ,প্রসন বর্মন , গোবিন্দ রংদার ,বীরেন রায়রা। অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেছেন প্রধান একবার বিজেপিতে আবার একবার তৃণমূলে যোগদানের খেলায় সমস্যার মুখে পড়ছে সাধারণ মানুষ। যার জেরে এই বেহাল হয়ে পড়েছে মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের বড় শৌলমারী অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট সহ একাধিক কালভার্ট।
জানা যায় বড় শৌলমারী অঞ্চলের দেওয়ানবশ এলাকায় সিঙ্গিজানি বলের মাঠ শিব মন্দির থেকে মুজনাই নদী বাঁধের পার হয়ে মুকুলডাঙ্গা থেকে সিঙ্গিজনি যাবার এই রাস্তাটি মাঝে দুটি কালভার্ট রয়েছে তারমধ্যে একটি কালবার্ড চার মাস আগে তৈরি হলেও দুদিনের প্রবল বৃষ্টি জেরে ইতিমধ্যেই তা ভেঙে পড়েছে। ফলে পথচলতি মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দেড় হাজার লোক এই রাস্তায় যাতায়াত করে ফলে বর্তমানে এটি মূল রাস্তা বলে এলাকাবাসীরা অনেকেই বলছে। তবে কি করে চার মাসের মধ্যে একটি কালভার্টটি ভেঙে যায় তা নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে বিভিন্ন অনিয়মিত ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠে আসছে।
এ বিষয়ে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সুশীল মন্ডল জানান পুরোনো কালবার্ড টি ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতের সমস্যা তৈরি হয় ফলে এন এস ও প্রধান সাহেবে কে জানিয়ে পুনরায় একটি নতুন কালভার্ট বসিয়ে ঠিকাদার মারফত দ্রুত রাস্তাটি মেরামতের জন্য কাজটি করা হয়। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কোন মাস্টার প্লান বা কংক্রিট কালবার্ড তৈরীর করার জন্য বরাদ্দ কোন অর্থ ছিলনা ।ফলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এখনো পর্যন্ত টাকাও পায়নি।
অন্যদিকে তৃণমূল ও বিজেপি দুই পক্ষ থেকে একে অপরকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুললেও তৃণমূলের বড় শৌলমারী অঞ্চলের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দীপঙ্কর বর্মন জানান প্রধান সাহেব বিজেপি থাকাকালীন কাজটি হয়েছে তবে সেটি মৌখিকভাবে হয়তো হয়েছে, এ বিষয়ে আমার সঠিক জানা নেই মূলত এন এস মারফত কাজটি হয়েছে। এন এস সাহেব পুরো বিষয়টি ভালো করে বলতে পারেন।
অপরদিকে বিজেপির দেওয়ানবশ বুথ সভাপতি জয় দেব বর্মন জানান তৎকালীন সময় দ্রুত মেরামতের তাগিদ মৌখিকভাবে বাসের রেলি দিয়ে কাজটি করতে চাইলেও পরে প্রধান সাহেব ও এন এস পর্যবেক্ষণ করে বলে কালভার্টের দুপারে পাকা করতে হবে। সেই নিরিখেই মৌখিক কথার ভিত্তিতে কাজটি করা হয় তবে সেটি কোনোভাবেই কংক্রিট কাজ ছিল না।
এ বিষয়ে প্রধানের সাথে বহু বার ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলেও তিনি ফোন তুলেননি ।
কিন্তু অপর দিকে এন এস স্বপন দাস এর সাথে যোগাযোগ হলেও তিনি প্রথমে মুখ খুলতে না চাইলেও পরে বিষয়টি প্রধানই দেখভালের দায়িত্ব ছিল বলে তিনি জানান।