পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পরিশ্রুত পানীয় জলের দাবি জোরালো হচ্ছে ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতে
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন।আর এই নির্বাচনের আগে এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জলের দাবি জোরালো হচ্ছে ফালাকাটা ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকা দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতে।দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলটি বরাবরই নানা দিক দিয়ে পিছিয়ে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।প্রায় তিরিশ হাজার মানুষ পরিশ্রুত পানীয় জলের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেস ও বাম জামানা থেকে বর্তমান তৃণমূল শাসিত সরকারের আমলে এলাকার উন্নয়ণ নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠতে দেখা গিয়েছে।বর্তমানে এলাকায় দলমত নির্বিশেষে সবচেয়ে বড় দাবি হিসেবে প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের। গোটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটিও পানীয় জলের প্রকল্প নেই। ফলে অঞ্চলের বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা কুয়ো বা নলকূপ।আর্থিক সঙ্গতি যাঁদের আছে তাঁরা কেনা জল ব্যবহার করছে।দক্ষিণ দেওগাঁয়ের বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা দ্বিজেন্দ্রলাল দেবনাথের অভিযোগ, “অঞ্চলের বেশিভাগ এলাকায় জলে মাত্রাতিরিক্ত আয়রন।ফলে সে জল পানের অযোগ্য।তাই দ্রুত এলাকায় পানীয় জলের দাবি করছেন তিনি।”এমনি দাবি এলাকার বাম যুব নেতা অর্জুন হাঁসদার ,শিক্ষক লিমন হোসেন ও রঘুনাথ দাস সহ অনেকেরই। মাত্রারিক্ত আয়রন থাকার ফলে বহু সরকারি গভীর নলকূপ পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।আলিপুরদুয়ার জেলা সিপিআইএমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আতিউল হক জানান, “বাম আমলে দুটি পানীয় জলের প্রকল্প জেলা পরিষদে পাশ করা হয়েছিল।কিন্তু পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে তা বাস্তবায়িত করা হয়নি।” আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্যা শেফালী নট্য বর্মন জানান, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে, দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। ফালাকাটা গ্রামীণ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা সিএডিসির চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র রায় জানান,পর্যায়ক্রমে দেওগাঁয়ের পানীয় জলের প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।তিনি বলেন বরাত প্রাপ্ত ঠিকাদারের ঢিলেঢালা কাজের জন্য সময় লাগছে।তবে যেসমস্ত এলাকায় পানীয় জলের প্রকল্প নেই সেখানে আগে কাজ শুরু করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। ফালাকাটা বিধানসভার বিজেপির বিধায়ক দীপক বর্মন বলেন, দেওগাঁও অঞ্চল সর্বদা শাসকদলকে উজাড় করে দিলেও সবচেয়ে দুরবস্থা এই গ্রাম পঞ্চায়েতের। সিপিআইএম এবং তৃণমূল দেওগাঁওবাসীকে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে বলে অভিযোগ করে তিনি অবিলম্বে এলাকায় পানীয় জল পরিষেবা চালুর দাবি জানান।স্বাধীনতার দীর্ঘ ৭৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও আজও পরিশ্রুত পানীয় জল থেকে বঞ্চিত দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ।আর কতদিন অপেক্ষা করলে মিলবে পানীয় জল? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকাবাসীর মনে। কবে মিলবে পানীয় জলের পরিষেবা? সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেওগাঁও বাসী।
ফালাকাটা থেকে আবিদ হোসেনের রিপোর্ট।