পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

নিউজ ডেস্ক,মালদাঃফের সরকারি কাজে দুর্নীতির অভিযোগ। কাজ শেষ হওয়ার একদিনের মধ্যেই বেহাল দশা। গ্রামবাসীদের সুবিধার্থে জেলা পরিষদ তহবিলের টাকায় বসানো হয় সাব মার্শাল পাম্প। কিন্তু ট্যাংকি দিয়ে চুইয়ে পড়ছে জল। ট্যাংকির বিভিন্ন জায়গায় লিকেজ। প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন এলাকাবাসীর। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগ। ট্যাঙ্কির লিকেজ দিয়ে চুইয়ে পড়ছে উন্নয়ন। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলকে খোঁচা বিজেপির। পাল্টা তৃণমূল। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। শুক্রবার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুইল পাড়া এলাকার জোৎস্না মোড়ে একটি সাবমার্সাল পাম্প বসানো হয়। জেলা পরিষদ সদস্য সন্তোষ চৌধুরীর উদ্যোগে জেলা পরিষদ তহবিলের তিন লক্ষ টাকা ব্যায়ে এই কাজ হয়। কাজ চলাকালীন নিম্নমানের কাজের অভিযোগে এলাকাবাসী বারবার অভিযোগ জানিয়েছে। কিন্তু কথা কানে নেন নি ঠিকাদার। অভিযোগ জেলা পরিষদ সদস্য সন্তোষ চৌধুরীকেও বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু কর্ণপাত করেননি। উল্টে সোনু চৌধুরী অভিযোগকারীদের বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছেন। এদিকে কাজ শেষ হওয়ার একদিনের মধ্যেই বিপত্তি। জলের ট্যাংকির বহু জায়গায় লিকেজ। লিকেজ দিয়ে চুইয়ে পড়ছে জল। ক্ষোভের বিস্ফোরণ এলাকাবাসীর। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন। এলাকাবাসীর বিক্ষোভকে স্বাভাবিক বলে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সন্তোষ চৌধুরী। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন নতুন করে ঠিক ভাবে কাজ হবে। অন্যদিকে সোনু চৌধুরী এতো পরিমান কাটমানি খেয়েছে যে লিকেজ দিয়ে চুইয়ে পড়ছে উন্নয়ন এই জন্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে সঙ্গে কাটমানি ইস্যুতে তৃণমূলকে খোঁচা বিজেপির। তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানোতোর।

স্থানীয় বাসিন্দা নবীন চন্দ্র মন্ডল বলেন, কাজ শুরু প্রথম থেকে আমরা অভিযোগ করছি। কিন্তু জেলা পরিষদ সদস্য সন্তোষ চৌধির বিরক্ত বোধ করেছেন। আমাদের বিরোধীদল ভেবেছেন। ট্যাংকির চারিদিকে ফাটল জল চুইয়ে যাচ্ছে।

জেলা পরিষদ সদস্য সন্তোষ চৌধুরী বলেন, জেলা পরিষদ তহবিলের টাকায় কাজ হয়েছে। আমাদের নেত্রী মমতা ব্যানার্জি কোন রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করেন না। নতুন করে কাজ হবে দরকার হলে। জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারদের জানিয়েছি।

উত্তর মালদা জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, বারবার দেখা যাচ্ছে সরকারের কাজে দুর্নীতি। প্রচন্ড নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হয়েছে। এতটা করে কাটমানি খাচ্ছে ঠিকাদারের কিছু করার থাকছে না। এখন সন্তোষ চৌধুরী ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। উন্নয়নকে হাতিয়ার করে বাজিমাত করতে চাইছে শাসকদল। কিন্তু বারংবার দেখা যাচ্ছে সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে ঠিক ভাবে হচ্ছে না কাজ। এলাকায় এলাকায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। স্বাভাবিক ভাবেই যা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে শাসকদলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *