পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে, আনন্দে পর্যটকরা
ক্ষীরোদা রায় ও বাপ্পা রায় ডুয়ার্সঃ
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ছিলই। শীতের সকালে আড়মোরা ভেঙে চোখ কচলাতে কচলাতে একটু বাইরে আসতেই জলের শীতল ফোঁটা পড়ল গায়ের উপর। আকাশে মেঘ, ঝিরিঝিরি বৃষ্টিপাত ডুয়ার্সের নদী, বন – বাগিচা প্রান্তরে।ঝিরিঝিরি বৃষ্টিপাতে শীতের স্নিগ্ধতায় ডুয়ার্সে বেড়াতে আসা পর্যটকদের মন ভরে উঠেছে আনন্দে। ওদিকে শ্বেতশুভ্র বরফের চাদরে মুড়ে গিয়েছে পাহাড়। দুই প্রান্তেই পর্যটকরা খুশি প্রকৃতির রুপ দেখে।তিস্তা থেকে সংকোশ নদী পর্যন্ত জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই জেলার ডুয়ার্সে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। তবে কয়েকদিন আগেও দুপুরে রোদের ঝিলিক ছিল বেশ। তবে পাহাড় থেকে সমতল পর্যন্ত আকাশে বিস্তৃত মেঘের রাশি। ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি দেখে ডুয়ার্সে বেড়াতে পর্যটকেরা খুশি। ময়নাগুড়ির রামশাইয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা জানালেন, পশ্চিমবঙ্গের অন্য কোথাও শীতে বৃষ্টি পড়তে দেখিনি, এবছর প্রথম চাক্ষুষ করলাম এ দৃশ্য। সূর্যোদয় দেখতে পাইনি সকালে। শীতেও আকাশ মুখ ভার করে থাকলেও আমরা ডুয়ার্সে ঘুরতে এসে আনন্দ উপভোগ করছি।রান্নার প্রিয় রেসিপি থাকলে যেমন মন আনন্দে উদ্বেল হয়, পর্যটকদের কাছে ডুয়ার্সের বুধবারের প্রকৃতি সাজিয়ে দিয়েছে তার রুপ সৌন্দর্য। পাহাড়ি বক্সা হয়ে জয়ন্তী, কিংবা গরুবাথান থেকে লাটাগুড়ি বা মূর্তি, টোটোপাড়া থেকে চিলাপাতায় বন, বাগিচা ও নদী ঘুরে দেখার মজাই অন্যরকম বলে জানালেন হৃষিকেশ রায় নামের এক পর্যটক।এর আগেও বেশ কয়েকবার ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে আকাশ মেঘলা ছিল এবং হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। বৃষ্টির পর জাঁকিয়ে শীতও পড়েছে। একনাগাড়ে সাত আটদিন কুয়াশায় আবৃত থাকে ডুয়ার্স। ময়নাগুড়ি কলেজের ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তথা আবহাওয়াবিদ ডঃ মধুসূদন কর্মকার বলেন, বুধবার উত্তরবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলোতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত হবে।পাহাড়ে নতুন করে তুষারপাত ঘটবে। ঠান্ডা বাড়বে। বৃহস্পতিবার থেকে কুয়াশার পরিমান বাড়বে বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমান বৃদ্ধির জন্য।