পূর্ব মুকুল ডাঙ্গায় প্রথমবার ড্রাগন ফল চাষ করেই সাফল্য পেলেন চাষী নির্মল বর্মন
বিদ্যুৎ কান্তি বর্মন এবং সৌমিত্র বর্মন , সিঙ্গিজানি,১১আগস্ট:- মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের বড়শৌলমারি অঞ্চলের পূর্ব মুকুল ডাঙ্গা গ্রাম এলাকার প্রগতিশীল চাষি নির্মল বর্মন তাঁর আধ বিঘা জমিতে প্রায় দেড় বছর আগে ড্রাগন ফল চাষ করেন । বর্তমানে সেই ড্রাগন ফল বিক্রি যোগ্য হওয়ায় সাফল্যও পেয়েছেন। এই খবর চড়াও হতেই এলাকার অনেকেই প্রথমবারের মতো ড্রাগন ফল দেখতে জমিতে নিত্যদিনই প্রায় ছোট থেকে বড়ো সকলেই ভিড় জমাচ্ছেন । জানা যায় বড় শোলমারী অঞ্চলে তিনি প্রথম ড্রাগন ফল চাষী এর আগে কেউ চাষ করেনি ওই এলাকায় ।
এবিষয়ে প্রগতিশীল চাষি নির্মল বর্মন জানান প্রায় দেড় বছর আগে বর্ধমানের এক বন্ধুর তত্ত্বাবধানে কৃষি ফার্ম এর মাধ্যমে ড্রাগন চাষের প্রস্তুতি শুরু করেন। প্রায় অর্ধ বিঘা জমিতে ১০০ টি পাকার খুঁটি পুঁতে ৩০০ টি চারা গাছ লাগিয়ে চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে নিজের পরিচর্যায় এবং মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের কৃষি অধিকারিক মলয় কুমার মন্ডল এর সহযোগিতা সাফল্য পেয়েছেন । প্রায় দেড় মাস ধরে তিনি ড্রাগন ফুট বিক্রি করছে। তবে এর বাজার মূল্য শিলিগুড়িতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা হলেও। বর্তমানের করোনা পরিস্থিতিতে ফালাকাটা মার্কেট তা বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে। ফলে তিনি সাফল্য পেলেও সঠিক দাম পাচ্ছেন না বলে জানান।
অপরদিকে মাথাভাঙ্গা ২ নম্বর ব্লকের কৃষি আধিকারিক মলয় কুমার মন্ডল জানান মাথাভাঙ্গা ২ নম্বর ব্লকের অনেক জায়গায় ড্রাগন ফল চাষ হলেও বড় শৌলমারী অঞ্চলে প্রগতিশীল চাষী নির্মল বর্মন প্রথম এই চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন সরকারি সহযোগিতায় এবং নির্মল বাবু পরিচর্যায় ড্রাগন ফল চাষ।