প্রকাশিত হল কবি দীপিকা দে সরকারের কাব্যগ্রন্থ “দীপের আলো”

নিজস্ব সংবাদদাতা , করনদিঘী : প্রকাশিত হল করণদিঘি থেকে কবি দীপিকা দে সরকারের কাব্যগ্রন্থ “দীপের আলো”। তার লেখা ৫০ টি ছোট ছোট ছড়া ও কবিতা নিয়ে “দীপের আলো” বইটি প্রকাশিত হল তার আত্মীয় পরিবারবর্গের হাত দিয়েই এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। তিন প্রজন্মের তিনি কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা। করণদিঘির অন্যতম সাহিত্য পত্রিকা “চেতনা”-র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রয়াত কবি কিরণ গোপাল দে সরকারের সহধর্মিনী। বয়সের ভারে শীর্ণকায়, পরিবারের সবার জন্য চিন্তায় ও সার্বিকভাবে মানব সমাজের মঙ্গল কামনায় নিরন্তর পূজাপাঠ নিয়ে থাকা এই মমতাময়ী সৃজনশীল মানুষটি এখনো এই বয়সেও ঘরের মেঝেতে পা ছড়িয়ে বসে কিংবা বিছানায় শুয়ে শুয়ে কবিতা লেখেন। লেখার খাতাটি থাকে তার বিছানায় বালিশের নীচেই। মূলতঃ ছড়ায় ছন্দে লেখা দীপিকা দে সরকারের কবিতাগুলি নিজের জীবন, সমাজ ও সংসারকে ঘিরেই আবর্তিত। বড় ছেলে ডুবুরি পত্রিকার সম্পাদক কবি কৌশিক দে সরকার বলেন, একসময় চেতনার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কবি কিরণ গোপাল দে সরকারের জীবনবোধ ও বহু কবিতার প্রাণকেন্দ্রে থাকা দীপিকা দে সরকার ছিলেন কবির কল্পনা তথা কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা। পরবর্তীকালে কিরণ গোপালের সূত্র ধরেই কবিতা লেখা শুরু করেন দে সরকার বংশের দীপশিখা পোদ্দার, বিশ্বরূপ দে সরকার, কৌস্তুভ, কৌশিক দে সরকার, সুতপা কর্মকার, সুকল্পা দাস, ঈশিতা দে সরকাররা। রায়গঞ্জের বাসিন্দা ঈশিতা দে সরকার বলেন, দে সরকার পরিবারের গৃহবধূরাও কবিতা লেখায় সিদ্ধহস্ত। বিজলী সাহা, চৈতালী ভট্টাচার্য, রাখী ধর তাদের কলমে কবিতার সুন্দর সাক্ষ্য রেখে চলেছে। শাশুড়ি মায়ের কবিতার অনুরাগী তারাও। এমনকি এই প্রজন্মের তাদের সন্তানদের মধ্যে ইন্দ্রাণী কর্মকার, সপ্তপর্ণা কর্মকার, তাথৈ দাস, কৌণিক দে সরকার, কৌলিক দে সরকাররাও তাদের দিদুন বা ঠাকুমার দেখাদেখি কবিতার দিকে বেশ ভালোভাবেই ঝুঁকে রয়েছে। শুধু তাই নয়, একথা শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য যে এই দে সরকার বংশের প্রায় প্রত্যেক ঘরেই এখন বাংলা সাহিত্যের জগতে নাম করা বেশ কয়েকটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদিত হয়ে চলেছে। যেমন, মধ্যবর্তী, টোটেম, চেতনা, ডুবুরি, স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, গ্লোবোলিট। সেই অর্থে সাহিত্যের অনুপ্রেরণায় চূড়ান্ত সফলকাম কবি দীপিকা দে সরকার ঘরে বসেই সমাজসেবাও করে থাকেন। এলাকার কত মানুষ যে ছোটখাটো অসুখে তার কাছ থেকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ নিয়ে খেয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। চোখের ক্ষীণদৃষ্টি দিয়ে এখনো আগামীর উজ্জ্বল শান্ত সুন্দর স্বাভাবিক ভবিষ্যতের স্বপ্ন এঁকে চলেছেন তিনি। তার সেই স্বপ্নের একটি রূপ “দীপের আলো” ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *