প্রচারের ফাঁকে আর্শীবাদ নিলেন তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী গিরীন্দ্রনাথ বর্মন
সৌমিত্র বর্মন, ফুলবাড়ি: প্রচারে এসে নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সভাপতি সচিতানন্দ মল্লিকের বাড়িতে গিয়ে আশীর্বাদ নিলেন মাথাভাঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গিরীন্দ্রনাথ বর্মন।বুধবার মাথাভাঙা ২ নং ব্লকের ফুলবাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের নিয়ে কর্মীসভা করে নির্বাচনী প্রচার চালান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন।জানা যায়,এদিন সকালে তিনি কৃষ্ণ গোপাল গীতা ভবন আশ্রমে পুজো দিয়ে কর্মীসভা করে প্রচার চালান।এরপর সেখান থেকে নবগঞ্জ ,ক্ষেতি,মোরঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকায় কর্মীদের নিয়ে কর্মীসভা করে প্রচার চালান।সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মাথাভাঙা ২ নং তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হরিপদ মিত্র,সহ সভাপতি ডঃ সাবলু বর্মন, ব্লক নেতৃত্ব যতীন বর্মন সহ অন্যরা। প্রচার সেরে নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সভাপতি সচিতানন্দ মল্লিকের বাড়িতে গিয়ে আশীর্বাদ নেন প্রার্থী গিরীন্দ্রনাথ বর্মন।
গিরিন বাবু বলেন, বাংলাদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে যে সকল নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষ উত্তরবঙ্গে এসেছিলেন, তারা বাস্তুহিত ছিলেন। কিন্তু আমাদের ক্ষত্রিয় সমিতি তার সঙ্গে তৎকালীন নমঃশূদ্র আন্দোলনের নেতা যোগেন মন্ডলের একান্ত যোগ ছিল। যোগেন মন্ডল এবং রাজবংশী সমাজের যে সকল বিধায়ক ছিলেন ক্ষত্রিয় সমিতির তারা তৎকালীন বিধান ব্যবস্থাপক সভায় তথা বিধানসভায় লড়াই করে সিডিউল কাস্ট পার্টি তৈরি করেছিলেন।তারা একসঙ্গে বাবাসাহেব আম্বেদকর কে বাংলার গণপরিষদের সদস্য করেছিলেন।তাই এই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ক্ষত্রিয় সমিতির একটা যোগাযোগ ছিল।এমনকি ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা যখন জীবিত ছিলেন তখন নমঃশূদ্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নমঃশূদ্র সমাজের অনেক মানুষই পঞ্চানন বর্মার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উপবিত গ্রহণ করেছিলেন। ক্ষত্রিয় সমিতি এবং নমঃশূদ্র আন্দোলনের সঙ্গে একটা যোগাযোগ রয়েছে।তাই আজকে নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সভাপতি সচিতানন্দ মল্লিকের বাড়িতে যাই এবং তিনি খুশি হন এবং আমাকে আশীর্বাদ করেন।তিনি আরো বলেন, আমি যদি বিধানসভায় নির্বাচিত হই তাহলে পিছিয়ে পড়া মানুষদের কথা বিধানসভায় তুলে ধরব।