প্রতিবাদ সভায় গরহাজির বিধায়ক হিতেন বর্মন
সঞ্জয় কুমার বর্মন, মাথাভাঙ্গা,৬ অক্টোবর: যুব তৃনমূল কংগ্রেসের ডাকে প্রতিবাদ সভা হয় মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের শিকারপুর হাই স্কুল মাঠে। সেই সভা থেকে বিজেপিকে একহাত নেন তৃনমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। প্রত্যেক বক্তার মুখেই বিজেপির বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। উত্তরপ্রদেশের ধর্ষণ কান্ড, কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা। রাজবংশী কামতাপুরী মানুষের মন পেতে রাজবংশী কামতাপুরি ভাষায় রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়। তিনি ৮০% ভাষনেই রাজবংশী কামতাপুরি ভাষায় বক্তৃতা দেন। কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ব বিদ্যালয়, শীতলকুচি ব্লকের খলিসামাড়ির রায় সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার পূর্ণ ভূমিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সহ রাজবংশী উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। নারায়নী রেজিমেন্ট নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন তৃনমূল জেলা সভাপতি। উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত ব্লক সভাপতি মহেন্দ্র বর্মন, যুগ্ম সহ-সভাপতি ইন্দ্রজিৎ রায় বসুনীয়া এবং নজরুল হক, জেলা তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি নরেন্দ্র দত্ত এবং নবনিযুক্ত যুব সভাপতি কামাল হোসেন। কিন্তু একটি লক্ষ্যনীয় বিষয় প্রতিবাদ সভায় দেখা গেল না এলাকার বিধায়ক হিতেন বর্মনকে। বিধায়ক সহ বিধায়কের স্নেহধন্যদের একাংশ উপস্থিত না থাকায় কর্মীদের মনে কানাঘুষা চলছে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। যদিও বিধায়ক হিতেন বর্মনের সাফাই, শীতলকুচিতে অন্য কর্মসূচি থাকায় শিকারপুরে উপস্থিত হতে পারেননি। এদিকে তুষের আগুনে ঘি ঢাললেন মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি এবং বর্তমান ব্লকের নবনিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক মজিরুল হোসেন, তিনি বলেন প্রতিবাদ সভায় আমাকে ডাকা হয়নি, তাই ইচ্ছা থাকলেও যেতে পারেনি।