প্রশাসনের চোখের সামনে চলছে অবৈধভাবে জলাশয় ভরাটের কাজ।

ফালাকাটাঃ অবৈধ ভাবে জলাশয় ভরাটের কাজ দেদার ভাবে চলছে ফালাকাটায়। প্রশাসনের চোখের সামনে ফালাকাটা-ধূপগুড়ি সড়কের পশে ফালাকাটা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়ায় জল শুকিয়ে যাওয়া নদীর ওপর ফাঁকা জায়গায় চলছে কংক্রিটের দেওয়াল। মঙ্গলবার সকালে সেখানে শ্রমিক সহ রাজমিস্ত্রীরা কাজ করতে গেলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখিয়ে সেই কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা খবর দেয় এলাকার কাউন্সিলর এবং পুরসভার চেয়ারম্যানকে। পুর প্রতিনিধিরা এসে সেই কাজটি বন্ধ করে দেয়। জলাভূমি আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নদী ভরাটের অভিযোগ ওঠায় বিতর্কে প্রশাসন। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী অবৈধ জলাশয় ভরাট ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন আধিকারিকদের, সেখানে খরার মরসুমে শুকিয়ে যাওয়া নদীতে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কংক্রিটের গার্ড ওয়াল দিয়ে নদীর জলপ্রবাহ বন্ধের অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী অমূল্য রতন ঘোষ, আক্রম হোসেন, মোজাম্মেল হক বলেন, এই নদীটি মুজনাই নদী ও বুড়িতোর্সা নদীর সংযোগস্থল। বর্ষায় এই নদীটি ফুলে ফেঁপে ওঠে এবং এই এলাকার সমস্ত জল এই নদী দিয়েই বেরিয়ে যায়। খরার মরসুমে এটি শুকিয়ে যায়, এসময়য় কিছু গরীব মানুষ এখানে চাষাবাদ করে। জানা গেছে, জায়গাটি কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গা নিবাসী পরেশ বিশ্বাস তার দখলে নিয়ে এই জায়গার ওপর কংক্রিটের গার্ড ওয়াল নির্মাণ করছেন। এর ফলে এই নদীর একদিক বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর দাবি এতে বর্ষায় নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠতে পারে, বন্যার জল ঢুকতে পারে এলাকায়। এলাকাবাসী জানান, এর আগেও অভিযোগ জানানো হয় এবং সেই সময় চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলর এসে কাজটি বন্ধ করে দেয়। তবে সামনে টিন দিয়ে ঢেকে রাতের অন্ধকারে গোপণে কংক্রিটের দেওয়াল তৈরি করা হয়। ঘটনা জানতে পেরে এলাকার কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যানকে খবর দেই তারা এসে এই কাজটি বন্ধ করে দেয় l

বাসিন্দাদের দাবি জলাশয় ভরাট করে ব্যবসায়ীক কাজে ব্যবহার করতে পারে , আমাদের দাবি এই জলাশয় পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে, না হলে এই এলাকা বর্ষায় ভেসে যাবে‌‌। নদীর ওপর গার্ড ওয়াল নির্মাণে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গা নিবাসী পরেশ বিশ্বাসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ফালাকাটা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভগীরথ মণ্ডল বলেন, খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে এই কাজটি বন্ধ করে দেই, এই বিষয়টি আমি পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে তুলবো এবং ব্লক ভূমি দপ্তর আধিকারিক এর সঙ্গেও কথা বলব। ফালাকাটা ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক শেখ মিলন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, এই বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ জানায়নি, আপনার থেকেই এটি জানতে পারলাম তবে আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *