প্রায় এক মাসে ৭০ এর উপরে গরু চুরি! বসানো হলো অস্থায়ী পুলিশ চৌকি

কোচবিহার

লাগাতার গরু চুরির অভিযোগে জর্জরিত কোচবিহার দুই নম্বর ব্লকের পুন্ডিবাড়ী থানা। শেষ পর্যন্ত বসানো হলো অস্থায়ী পুলিশ চৌকি। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার দুই নম্বর ব্লকের খোলটা মরিচবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ি থেকেই চুরি হচ্ছে গরু। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা গরু চুরি করে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই পুলিশ চৌকির পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে নৈশ্য পাহারার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিশ।

গরু চুরি এবং গরু পাচার কোচবিহারের অন্যতম বড় রেকেট হিসেবে পরিচিত। দফায় দফায় বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে পুলিশ ইতিমধ্যেই গরু পাচারের বিরুদ্ধে সফলতা লাভ করেছে। তবে যা গরু উদ্ধার হচ্ছে তা মোট পাচারকৃত গরুর ২ শতাংশ নয় বলে দাবি গ্রামবাসীদের। কোচবিহারের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিভিন্ন সময় গরু চুরির অভিযোগ উঠে আসে কিন্তু এবার অভিযোগ অনেকটাই গুরুতর। বিগত প্রায় এক মাসে ৭০ এর ওপরে গরু চুরি হয়েছে শুধুমাত্র খোলটা মরিচবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যার ভারতীয় বাজার মূল্য ৫০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য অনেক বেশি। এই গরু চুরি রুখতে এবার মাঠে নেমেছে গ্রামবাসীরা। মরিচবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুদীপ কার্জী ওরফে বাড্ডু জানান, বিগত প্রায় এক মাসে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। পুন্ডিবাড়ী থানার সাথে আলোচনা করে থানার সহযোগিতায় একটি অস্থায়ী পুলিশ চৌকি করা হয়েছে মরিচবাড়ি চৌপতিতে। সেখানে সারারাত পুলিশ পাহারা থাকে। রবিবার গভীর রাতে গরু চুরি করতে আসে একদল চোর, পুলিশের তাড়া খেয়ে তারা পালিয়ে গেলেও একটি মোটর বাইক উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে এই মোটর বাইকটি কার, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই গরু চুরির ঘটনাকে সামনে রেখে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করছে সেই সাথে সচেতন রয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। রবিবার রাতেও গ্রামবাসীদের সহযোগিতাতেই গরু চুরি আটকানোর সম্ভব হয়েছে বলে জানান সুদীপ বাবু। এবং সেই সাথে পুলিশকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে যারা চোর তাদেরকে শনাক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *