প্রেমের টোপ ফেলে প্রথমে অপহরণ, পরে পরিবারের কাছে মুক্তিপণের দাবি অপহরণকারীদের। অপহরণের অভিযোগ পেয়ে 24 ঘণ্টার মধ্যে সাফল্য পেল মালদার মানিকচক থানার পুলিশ।

রাহুল মন্ডল ,মালদা:

প্রেমের টোপ ফেলে প্রথমে অপহরণ, পরে পরিবারের কাছে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণকারীদের।অপহরণের অভিযোগ পেয়ে 24 ঘণ্টার মধ্যে সাফল্য পেল মালদার মানিকচক থানার পুলিশ।চাচল থানার মালাহার থেকে অপহৃত দুই যুবককে উদ্ধারের পাশাপাশি দুইজন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে মানিকচক থানার পুলিশ।পুরো ফিল্মি কায়দায় অভিযান চালিয়ে সাফল্য পায় মানিকচক থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, প্রথমে প্রেমের টপ দিয়ে দুইজন যুবককে অপহরণ করা হয়।অপহৃত দুই যুবকের নাম জাহাঙ্গীর আলম ও মাবুদ মোত্তাকিন। মানিকচক থানার বালুটোলা এলাকার বাসিন্দা।অন্যদিকে গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তির নাম সাদ্দাম হোসেন আব্দুল আলি।ধৃতরা চাঁচলের মালাহার এলাকার বাসিন্দা।

পরিবার সূত্রে জানাগেছে চলতি মাসের পাঁচ তারিখ সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল জাহাঙ্গীর আলাম ও মাবুদ মোত্তাকিন।খোঁজাখুজি করেও তাদের খুঁজে পাচ্ছিল না পরিবারের লোকজন।সেদিনই রাত্রে ফোন মারফত মুক্তিপণ চাইতেই পরিবারের লোকজন জানতে পারে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ চাওয়া হয় তিন লাখ টাকা।এরপরই 6 তারিখে মানিকচক থানায় অভিযোগ করে অপহৃত দুই যুবকের পরিবার। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে মানিকচক থানার পুলিশ।আইসি অক্ষয় পালের নির্দেশমতো মানিকচক থানার এএসআই ভঞ্জন ঘোষের নেতৃত্বেএকটি পুলিশের দল শুরু করে জোরালো অভিযান।ফোনের লোকেশন ধরে পুলিশ জানতে পারে চাচলের মালাহার এলাকায় অপহরণ করে রাখা হয়েছে।পুলিশকর্মীরা ছদ্মবেশে পরিবারের লোকের সঙ্গে মুক্তিপণ দিতে অপহরণকারীদের ডাকা সেই জায়গায় যায়।তারপরে হাতেনাতে ধরে ফেলে দুইজন অপহরণকারীকে।উদ্ধার হয় অপহৃত দুই যুবক।অপহৃত দুই যুবক মানিকচক থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে সুস্থ অবস্থায়। তৎপরতার সাথে অভিযান চালানোর পুলিশের কাছে প্রশংসা করছে অপহৃত যুবকের পরিবারবর্গ।

বুধবার গ্রেফতার হওয়া দুইজন অপহরকারীকে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ এর জন্য মালদা জেলা আদালতে পেশ করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। পাশাপাশি এই অপহরণ কান্ডে আরও কারা জড়িত রয়েছে তার খোঁজে রীতিমতো তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে মানিকচক থানার পুলিশ কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *