ফালাকাটা তৃণমূল ব্লক কমিটি থেকে ইস্তফা দশ নতুন সদস্যের, ইস্তফা ধনীরামপুর ১ অঞ্চল বুথ সভাপতিদের
ক্ষীরোদা রায়: ফালাকাটা ব্লকের দশটি অঞ্চলের তৃণমূল যুব সভাপতির পদ থেকে সড়িয়ে যাদের ব্লক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই নতুন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এমনকি একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথের বুথ সভাপতি, এস.সি./এস.টি. সেলের সভাপতি, ছাত্র সংগঠনের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করতে ঐ গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতির হাতে জমা দিয়েছেন পদত্যাগ পত্র। এমনকি ঐ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরাও পদ থেকে ইস্তফা দিতে প্রস্তুত এমনটাই সূত্রের খবর। সব মিলে ফালাকাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের রাজনীতি একুশের বিধানসভা ভোটের আগে খুব মসৃন জায়গায় নেই। ব্লক যুব সভাপতি পদে সঞ্জয় দাসের অপসারণের পর, তার অনুগামী দশটি অঞ্চলের যুব সভাপতিদের পদ থেকে সড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ব্লক কমিটির পদে। কেউ হয়েছেন সম্পাদক বা কেউ সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু এই পদে থাকতে চাননা তারা। তাই গণ ইস্তফা তাদের। ময়রাডাঙ্গা, শালকুমার, ধনীরামপুর ১ ও ২, ফালাকাটা ২, দেওগাঁও সহ দশটি অঞ্চলের প্রাক্তন যুব সভাপতিরা আপাতত দলের নতুন পদে থাকতে চাননা, তারা সাধারণ সদস্য হিসেবে থাকবেন বলে ইস্তফা পত্রে উল্লেখ করেছেন। গোপন সূত্র মারফৎ জানা গেছে, ধনীরামপুর ১ অঞ্চল থেকে বুথ সভাপতিরাও পদত্যাগ করছেন, ঐ অঞ্চলের এসসি, এসটি সেলের সভাপতিও পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। গোপন সূত্রের খবর, ধনীরামপুর ১ অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারে নাকি চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন এমনটাই হাওয়ায় ভাসছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা নেতারা নিরন্তর যোগাযোগ রাখছেন ঐ দশটি অঞ্চলের সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া যুব সভাপতিদের সঙ্গে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার টিম পিকের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর অঞ্চলের যুব সভাপতিদের পরিবর্তন করে নতুন মুখ আনা হয়। পুরণো যুব সভাপতি অনেকের পদে থাকার নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হয়নি। তার আগেই তাদের সড়িয়ে ব্লক কমিটিতে নেওয়া হলো। এ বিষয়ে ফালাকাটা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ রায়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়।
এই খবরের বিস্তারিত রিপোর্ট আজ আবার প্রকাশিত হবে।