ফেরত পাঠানো হচ্ছে স্কুল নির্মাণের ৩৫ লক্ষ টাকা,বিদ্যালয় পরিদর্শককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
মামনি দাস,মালদা ১০মার্চ: ফেরত পাঠানো হচ্ছে স্কুল নির্মাণের টাকা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শককে ঘেরাও করলেন গ্রামের বাসিন্দারা। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যালয় পরিদর্শকের চেম্বারে ঘেরাও করে রাখেন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। গ্রামবাসীদের হাতে নিজস্ব অফিসেই আধিকারিকের ঘেরাও হয়ে থাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য পড়ে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং অন্যান্য আধিকারিকরা। আশ্বস্ত করা হয় ওই এলাকায় অবিলম্বে বিদ্যালয়ের কাজ শুরু করা হবে। এরপরই বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ঘেরাও তুলে নেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধিকাপুর ডোহরা এলাকায় নতুন করে একটি জুনিয়র হাই স্কুল নির্মাণের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ কড়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সম্প্রতি একটি নির্দেশিকায় ওই টাকা ফেরত চাওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ ওই হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধিকাপুর ডোহরা এলাকায় নতুন করে একটি জুনিয়র হাই স্কুল নির্মাণের জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ কড়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সম্প্রতি একটি নির্দেশিকায় ওই টাকা ফেরত চাওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ ওই এলাকার গ্রামবাসীরা। তারা দাবি করেছেন এই টাকা কিছুতেই ফেরত দেওয়া চলবে না। ওই এলাকায় স্কুল নির্মাণ করতে হবে। এই নিয়ে তারা হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক কে ঘেরাও করে। অবিলম্বে ওই এলাকার স্কুল নির্মাণ শুরু না হলে গ্রামবাসীরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবে। এ নিয়ে তারা হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক কে ঘেরাও করে অবিলম্বে ওই এলাকার স্কুল নির্মাণ শুরু না হলে গ্রামবাসীরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবে।
যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিণ চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক তারক মন্ডল বলেন গ্রামবাসীদের দাবি দাওয়া শুনেছেন এবং তিনি আশ্বাস দিয়েছেন এই ব্যাপারে তিনি অবিলম্বে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন।
বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের বক্তব্য হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। আর সুলতান নগর অঞ্চলের এই অংশে কোন জুনিয়র হাই স্কুল নেই। আমাদের দাবি স্কুল নির্মাণ হোক কোনো মতেই টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। অবিলম্বে দাবি কার্যকর না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবো।
যদিও গোটা ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছে জেলা বিজেপি সম্পাদক কিষান কেডিয়া। তাদের দাবি এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের দাবি বর্তমানে রাজ্য সরকার দেউলিয়া অবস্থা। লক্ষীর ভান্ডার সহ একাধিক প্রকল্পে টাকা দিতে দিতে রাজ্য সরকারের ভিখারী-দশা। উন্নয়ন বন্ধ হয়ে গিয়েছে কবে। এখন মমতা সরকার রাজ্য কে বিক্রি করার চক্রান্ত করছে।
অন্যদিকে বিজেপির এই দাবি কে নস্যাৎ করেছেন জেলা তৃণমূল সম্পাদক জম্মু রহমান। তৃণমূল নেতার আমরা দলীয় স্তর থেকে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখব প্রয়োজন হলে আমরা এ ব্যাপারে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের সময় কথা বলবো যাতে অবিলম্বে ওই এলাকায় স্কুল স্থাপন করা হয়। কোন মতেই যাতে শিক্ষার ভালো থেকে বঞ্চিত না হয় ওই এলাকার বাসিন্দারা। প্রয়োজন হলে বিধানসভায় এই বিষয় নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধায়ক তজমুল সাহেব কথা বলবেন।