বছর শেষে বন দপ্তরের নির্দেশিকা এড়িয়ে মূর্তি নদীতে স্নান পর্যটকদের
সুব্রত রায়, লাটাগুড়ি: বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় উপলক্ষে ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় ঢল নেমেছে পর্যটকদের। ডুয়ার্সের মূর্তি, গরুমারা, লাল ঝামেলা, জলঢাকা, চামুর্চি সহ বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেল এদিন। কোথাও কোথাও নদীর পাড়ে উনুন জ্বালিয়ে রান্না করে খেতেও দেখা গেল পর্যটকদের। উল্লেখ্য করোনা আবহে এবার কোথাও বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ উপলক্ষে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় নি। তাই অনেকেই পরিবার নিয়ে সাত সকালেই বেড়িয়ে পড়েছেন ডুয়ার্সের পাহাড়, নদী, জঙ্গলে ঘুরতে। অনেকেই রাতে হোম স্টে ও রিসর্টগুলোতে রাত্রিযাপন করে সেখানেই বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় উপলক্ষে নিজেরা আনন্দ উপভোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। সেকারণেই এদিন রিসর্ট ও হোমস্টে গুলোর ভালো চাহিদা দেখা গেল। অনেকদিন পর পর্যটকদের ভালো রকম ভিড় হওয়ায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। পর্যটক ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জানান,” পূজার পর থেকেই পর্যটকরা করোনা আতংক কাটিয়ে আসতে শুরু করেছেন। তবে সেভাবে পর্যটকদের ভিড় দেখা যায় নি। বড়দিনের পর আজকে পর্যটকদের ভালোই ভিড় হয়েছে। আমাদের ব্যবসা পর্যটকদের নিয়ে তাই অনেকদিন পর পর্যটকদের ভিড়ে আমরা খুশি।”
উল্লেখ্য দীর্ঘ লকডাউন শেষে পূজার পর থেকেই আস্তে আস্তে ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে পর্যটকদের। এদিন বর্ষবরণ এবং বর্ষবিদায়ের আনন্দে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করা গেল । পর্যটক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান,” এমনিতেই করোনা আর লকডাউনের কারণে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। আর এবছর কোথাও বর্ষবরণ উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠানও নেই। তাই পরিবার নিয়ে সকালেই বেড়িয়ে পড়েছি। দুটো দিন ছুটির মেজাজে কাটাতে। “
পর্যটকদের মধ্যে বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় এর উন্মাদনা এতটাই ছিল যে বেশিরভাগ পর্যটকদের মুখে মাস্ক ছিল না। এমনকি পর্যটকদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো দৃশ্যও কিন্তু চোখে পরলোনা এদিন।আনন্দে উদ্বেল কিছু পর্যটককে মূর্তি নদীতে নেমে স্নান করতেও দেখা গেল।
এদিকে এদিন পর্যটকদের মূর্তি নদীতে নেমে স্নান করা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বনদপ্তরের নজরদারি এড়িয়ে কিভাবে পর্যটকরা মূর্তি নদীতে নেমে পড়ল সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।