বর্ষপঞ্জীর বৈষম্য দূর করতে অধ্যাপক অজয় রায় কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি আজও

পার্থ নিয়োগী: বর্ষপঞ্জির এসব বৈষম্য দূর করতে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির পঞ্জিকা সংস্কার কমিটি এক সভায় বসেন। যেখানে পঞ্জিকা সংস্কার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. অজয় রায়ের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক জামিল চৌধুরী, অধ্যাপক আলী আসগর এবং কমিটির সদস্য সচিব ও একাডেমির পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জী। পঞ্জিকা সংস্কার কমিটি বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে তিনটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেগুলো হচ্ছে- বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম ছয় মাস বৈশাখ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত ৩১ দিনে গণনা করা হবে। এ ছাড়া কার্তিক থেকে মাঘ এবং চৈত্র মাস ৩০ দিনে গণনা করা হবে। শুধু ফাল্কগ্দুন মাস ২৯ দিনে গণনা করা হবে। তবে ইংরেজি বর্ষপঞ্জির অধিবর্ষে (লিপ ইয়ার) ফাল্গুন মাস ২৯ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিনে গণনা করা হবে। সংশোধনের ফলে ১৪২৩ বঙ্গাব্দ থেকে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বাংলা তারিখ হবে ৮ ফাল্গুন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের বাংলা তারিখ ১২ চৈত্র, ৮ মে রবীন্দ্রজয়ন্তী ২৫ বৈশাখ, ২৫ মে নজরুল জয়ন্তী ১১ জ্যৈষ্ঠ এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বাংলা তারিখ হবে ১ পৌষ। ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদের দ্বিতীয় সভায় গ্রহণ করা হয় পঞ্জিকা সংস্কার কমিটির সুপারিশ; কিন্তু এখনও বাস্তবায়ন হয়নি তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *