বারুনী মেলা

মহাসাড়ম্বরে বুধবার ভোর থেকে শুরু হল দক্ষিন দিনাজপুর জেলার শতাব্দী প্রাচীন গঙ্গারামপুর শিববাড়ির পবিত্র ও মহা পূণ্যস্নান প্রাঙ্গণ ও মেলা বারুণী। প্রসঙ্গত, বুধবার পুর্নভবা নদীতে পুণ্যস্নান করতে ভক্তদের ঢল নামে। স্নান সেরে পুণ্যার্থীরা বিরুপাক্ষ বাণেশ্বর শিব মন্দির ও শিববাড়ি কালীমন্দিরে পুজো দেন। গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়িতে ঐতিহাসিক বারুণী স্নানের এই মেলা কতটা প্রাচীন তা সকলের অজানা রয়েছে। সারা বছর দক্ষিন দিনাজপুর জেলার সমস্ত জায়গার পূণ্যার্থীদের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার  প্রচুর মানুষের এই বারুনী স্নান উপলক্ষে গঙ্গারামপুর শিববাড়ীর পুনর্ভবা নদীতীরে  সমাগম হয়। শিববাড়ির মেলাকে ঘিরেই রয়েছে ঐতিহাসিক বানরাজার ইতিহাস। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মেলাগুলির মধ্যে শতাব্দী প্রাচীন বারুণী মেলা, আর সেই বারুণী মেলাকে ঘীরে জমে উঠেছে মেলাও। ঐতিহাসিক শিববাড়িতে বারুণী স্নানের মেলা ও দর্শনার্থীদের সহযোগিতায় পাশে রয়েছেন বারুনী মেলা কমিটির প্রতিটি সদস্য। এর পাশাপাশি কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকলের সাহায্যার্থে সাদা পোশাকে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ও প্রশাসন উপস্থিত রয়েছে যথেষ্ট ভাবে। ভোর থেকে মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে শিববাড়িতে বারুণী স্নানের মেলাতে বহু দুরদুরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা এসে ভিড় জমান এবং স্নান করেন পূণর্ভবা নদীতে। স্নান সারার পাশাপাশি দর্শনার্থীরা ঐতিহাসিক বাণরাজার শিব মন্দির বানেশ্বর সহ বহু দর্শনীয়স্থান ঘুরে দেখেন। বেলা বাড়তেই দর্শনার্থীরা মেলাতে ভিড় জমান। এই বারুনী মেলাতে দর্শনার্থী সহ সকলের জন্য নাগরদোলা ও বিভিন্ন রকম খাবারের দোকান ও অন্যান্য উপকরণ সামগ্রীর দোকান বসেছে। যেমন মেলাতে দোকান বসেছে জিলিপি মিষ্টি শনপাপড়ি পাপড় ভাজা সহ নিরামিষ ভোজিদের জন্য নানান হোটেল বিশুদ্ধ ও পরিস্রুত পানীয় জল সহ অন্যান্য খাবারের দোকান।
গঙ্গারামপুর শিববাড়ি বারুণী মেলা কয়েকদিন ধরে চলবে। গত দুই বছর ধরে চলতে থাকা করোনা মহামারীর কারণে গঙ্গারামপুর শিববাড়ি বারুণী মেলায় দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের ভিড় কম হওয়ার পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণ না বসলেও বারুণী মেলা কোনরকম পার হলেও এবছর দর্শনার্থী সহ মেলাতে প্রচুর মানুষের উপস্থিতি দেখে খুশি সকলেই। তবে বলাই বাহুল্য, এই বছর গঙ্গারামপুর শিববাড়ি বারুণী মেলায় প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটেছে যার জেরে মুখে হাসি ফুটেছে বারুনী মেলা কমিটির সদস্য সহ মেলায় বসা ব্যবসায়ীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *