বিএড-এ ভর্তি হয়েছেন জেলা পরিষদ সদস্য, রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া নিয়ে জল্পনা, গুঞ্জন মালদায়

শেখ সাদ্দাম, চাঁচল, ২৮ ডিসেম্বর: বাবা শিক্ষক ও পরিবারের অনেকেই শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন।তবে মালদা জেলা পরিষদের ঐ সদস‍্য রাজনীতির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ও সক্রিয়।রাজনীতি তো স্থায়ী নয়! তবে ঐ জেলাপরিষদ সদস‍্য রাজ‍নৈতিক জীবন থেকে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নে উঁকি মারছেন। সোমবার মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সদস‍্য সামিউল ইসলাম চাঁচল বি-এড কলেজে ভর্তি হতেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল শুরু হয়েছে।ডিগ্রী অর্জন করে পরিবর্তীতে রাজনীতি ছেড়ে শিক্ষকতার পেশায় প্রবেশ করে রাজনীতি ছেড়ে দিতে চান? এ নিয়ে চাঁচলজুড়ে শুরু হয়েছে ঘোর জল্পনা।যদিও তিনি জানান, “বিএড কলেজে ভর্তি হলেও জনগণের স্বার্থে রাজনৈতিক জীবনে থাকবেন। মানুষের হয়ে কাজ করেই যাবেন। শিক্ষকতার মত পেশায় থেকেও রাজনীতি করা যায়। তবে রাজনীতি করলেও এই শিক্ষকতার পেশাকে ভবিষ‍্যতে গ্রহন করে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করতে চাই।” যদিও তার বহু দিনের ইচ্ছা ছিল একজন আইনজীবী হওয়ার। পরিবারের যেহেতু অনেকেই শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত তাই সামিউল বিএড-এ ভর্তি হয়ে তার পরিবারের সুনাম ধরে রাখতে চায়।এদিন কলেজে ভর্তি হওয়ার কথা শুনেই তার স্কুল জীবনের শিক্ষকেরা আপ্লুত হয়েছেন।কনুয়া হাইমাদ্রাসার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, সামিউল আগাগোড়া থেকেই একজন মেধাবি ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিল। ছাত্রজীবনেও রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে মানুষের সেবা করে আসছেন। সেই কর্মবজায় রেখেছেন। তিনি আরোও বলে দেশেরঅনেক নেতা রাজনীতির পাশাপাশি মুনাফা অর্জনের জন‍্য বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। সামিউল ইসলাম মেধাবি ছাত্র, শিক্ষকতাকেই ভালোবেসে এগিয়ে যেতে যায় বলেই হয়তো বিএড-এ ভর্তি হয়েছেন জানালেন তার পরিজনেরা। জীবনে সে বড়ো হয়ে উঠুক আশির্বাদ করেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সব রাজনৈতিক দলের প্রচার চলছে তুঙ্গে। কিন্তু এর মধ‍্যে মালদা জেলা তৃণমুলের সাধারণ সম্পাদক বিএড- এ ভর্তি হতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে কৌতুহল, বিএড-এ ভর্তি পর তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয়েছে চাপা গুঞ্জন। অনেকে বলছেন, এবার তাহলে শিক্ষকতার আঙ্গিনায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে চলেছেন সামিউল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *