বিজেপির সঙ্গে মিলে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা অনাস্থা আনল প্রধানের বিরুদ্ধে
ক্ষীরোদা রায়, ফালাকাটাঃ বিজেপির ৭ জন পঞ্চায়েত সদস্য মিলে তৃণমূলের ৫ জন পঞ্চায়েত সদস্য গ্রাম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিল। ভোটের দোরগোড়ায় ফালাকাটার শালকুমার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিল ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্য। অনাস্থাকারী পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, পঞ্চায়েত সদস্যদের না জানিয়েই প্রধান বিমল গাবুর একাই সমস্ত কাজ করতেন, এমনকি তিনি নিজের এলাকা উমাচরণপুর এবং খাউচাঁদ পাড়াতে বেশি করে সরকারি কাজ করেছেন। পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রতি বৈষম্যের কারণে তারা গ্রাম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। অনাস্থাকারী পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের গণেশ দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা দেখছি প্রধান আগেই রেজুলেশনে সই করিয়ে নিতেন এবং তারপর বোর্ড মিটিংয়ে কাজের টেন্ডার পাশ করিয়ে নিতেন। তিনি তার এলাকাতে বেশি কাজ করেছেন, বাকি পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রতি বৈষম্য করেছেন।
সূত্রের খবর, প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা না আনার জন্য দলের ব্লক ও অঞ্চল কমিটির নেতারা দুই পক্ষকে নিয়ে কয়েকদিন আগে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় দলের পঞ্চায়েত সদস্যরা অনাস্থা না আনার কথা বলেন। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে ফালাকাটা ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্য। এর মধ্যে বিজেপি থেকে নির্বাচিত ৭ জন সদস্য রয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত সদস্য রয়েছেন ৪ জন এবং সিপিআইএম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া রেজুলা পারভিন। মোট অনাস্থাকারী সদস্যের অর্ধেক রয়েছে মহিলা পঞ্চায়েত সদস্য। সূত্র মারফৎ জানা গেছে, প্রধানের সঙ্গে বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যের ব্যক্তিত্বের সঙ্ঘাত চলছে, বিমল গাবুরকে সড়িয়ে দিয়ে প্রধান পদ দখলের চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদ তপশিলি উপজাতিভুক্তদের জন্য সংরক্ষিত। তবে অনাস্থার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে শালকুমার অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কল্লোল নট্ট বলেন, “এ বিষয়ে তারা কিছু জানতে পারেননি, সংবাদমাধ্যম সূত্রে তিনি অনাস্থার ব্যাপারে জানতে পেরেছেন। এ বিষয়ে দলের জেলা ও ব্লক নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই মানা হবে।” বিমল গাবুর বলেন, “দল আমাকে যা বলবে আমি তাই করব, দল আমাকে টিকিট দিয়েছে, জিতে এসে প্রধান হয়েছি, দলের নিয়ম ভাঙিনি, দল যা বলবে তাই করব।” এ বিষয়ে ফালাকাটা ব্লকের বিডিও সুপ্রতীক মজুমদার বলেন, তারা ডাকযোগে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সেটি আমার কাছে আসেনি। সেটি পেলে খতিয়ে দেখব।”