বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে যোগ যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি তথা জেলা সম্পাদকের
নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহার: দীর্ঘদিন ধরে দলে কোণঠাসা হয়ে বসে থাকার পর শেষ পর্যন্ত তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিজেপির যুব মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি শৈলেন্দ্র প্রসাদ সাউ। আজ কোচবিহার শহরের ভবানী চৌপথী এলাকায় তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে তিনি প্রায় পাঁচ শতাধিক অনুগামীদের নিয়ে দলবদল করলেন। তাঁর হাতে এদিন দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।
শৈলেন্দ্র প্রসাদ সাউ ২০১৫ সাল থেকে ৩ বছর ধরে বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। ছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদকও। কিন্তু মালতি রাভা দলের জেলা সভাপতি হওয়ার পর থেকে জেলা নেতৃত্বের একটা বড় অংশকে নানা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাতে অনেক নেতাই দলে কোণঠাসা হয়ে বসে ছিলেন। শৈলেন্দ্র প্রসাদ সাউ তাঁদের মধ্যেই একজন।
এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েই শৈলেন্দ্র প্রসাদ সাউ বলেন, কোচবিহার জেলায় বিজেপিতে পুরানোদের কেউই প্রায় এখন আর কোন দায়িত্বে নেই। নতুনদের পদে বসানো হচ্ছে। দলের বেশীরভাগ নেতাকর্মীরা তোলাবাজে পরিণত হয়েছে। আমরা সমাজের জন্য কাজ করতে এসেছিলাম। কিন্তু বিজেপিতে সেটা করা যাচ্ছিল না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম। পাশাপাশি তিনি এদিন বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতী রাভাকে কটাক্ষ করে বলেন, “কোচবিহার বিজেপির সভানেত্রী একজন রাক্ষসী। তিনি দলটাকে শেষ করে দিচ্ছেন।”
যদিও এবিষয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতি রাভা বলেন, শৈলেন্দ্র প্রসাদ সাউ বর্তমানে দলের কোন দায়িত্বে ছিলেন না। তাই তৃণমূলে যোগ দিয়েও আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর একজন মহিলাকে অপমান জনক ভাষায় আক্রমণ করে নিজের পরিচয় নিজেই দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ তাতেই তার ভাবমূর্তি বুঝে গেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় বলেন, শৈলেন্দ্র প্রসাদ সাউ রাসমেলার মাঠে মঞ্চ করে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে আমাদের দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব নয় বলে, এদিন পাঁচ শতাধিক অনুগামী নিয়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে যোগদান করলেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং বিজেপি নেতৃত্বদের স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারণেই আজ তিনি বিজেপি ছেড়ে আমাদের দল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। আগামী দিনে বিজেপির আরও বহু নেতা কর্মী আমাদের দলে যোগ দেবেন।
এদিনের ওই নেতার দলবদলের সময় পার্থপ্রতিম রায় ছাড়াও তৃণমূলের কোচবিহারের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক ভূষণ সিং সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।