বীরপাড়াত গুরুংয়ের সভাত রাজবংশী সমাজের বৈরাতি নাচত সাগাই বরণ
সুব্রত রায়, বীরপাড়া: হলদিয়া সবুজের মাঝত সাদা কাপড়ের মঞ্চ। বিমল গুরুং গুরুং মঞ্চত উঠিবে। রাজবংশী সমাজের বৈরাতি নাচের মইধ্য দিয়া বরণ করা হৈল বিমল গুরুং অক। প্রায় তিন বছর পর বীরপাড়াত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং এর জনসভা অনুষ্ঠিত হছে।
২০১৭র বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির প্রতি সমর্থন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা আরহ অনন্ত পন্থী গ্রেটার কোচবিহার পিপলস পার্টির। বীরপাড়ার মোতিমিলের প্রগতি ক্লাবের খোলানত নরেন্দ্র মোদীর উদাং দরবার। সে বার রাজবংশী রীতি মানি মোদীক বরণ করি মঞ্চত আনা হয়। ঠিক একে জাগাত প্রায় তিন বছর পর বিমল গুরুং জনসভা করিল দেওবার। এবার বগলত না আছে অনন্ত না আছে মোদী। কিন্তু মঞ্চের উপর সাগাই বরণ অনুষ্ঠান হৈল রাজবংশী সমাজের চাইলন কুলা হাত’ত বৈরাতি নাচের মইধ্য দিয়া। গোর্খা সংস্কৃতি ছাড়ি রাজবংশী সংস্কৃতি নিয়া সাগাই বরণের কি তাৎপর্য থাকির পারে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মত, বিজেপি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা আর অনন্ত পন্থী গ্রেটার কোচবিহার দল’ক যে প্রতিশ্রুতি দিসে তা পূরণ না হওয়ায়, আইসা দিনত হয়তো গোর্খা আর রাজবংশী সমাজের মানষির মইধ্যে সমঝোতা হওয়ার পারে, গুরুং হয়তো সেই বার্তায় দিল রাজবংশী সমাজের বৈরাতি নাচের মইধ্য দিয়া অতিথি বরণ করার সাথত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মতে, উত্তরবঙ্গের জাতিসত্তা ভিত্তিক সংগঠনগুলা এক ছাতির তলোত আসিলে বাহিরের যেকোন রাজনৈতিক শক্তি প্রভাব ফেলের পাবেনা আর এটেকার রাজনীতির উপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা জাতিসত্তা ভিত্তিক দলগিলার হাততে থাকিবে। হয়তো গুরুং অইন্য জাতির সংস্কৃতিক সম্মান দিয়া সেই কথায় কয়া দিল।