বুড়ি তিস্তায় বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ায় যাতায়াতের সমস্যায় বাসিন্দারা
বিষ্ণুপদ রায়, হলদিবাড়ি: প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে বুড়ি তিস্তা পারাপারে বাঁশের সাঁকোই গ্ৰামবাসীর ভরসা। এত বছর পেরিয়ে গেলেও হলদিবাড়ি ব্লকের পারমেখলিগঞ্জ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের নগর সাহেবগঞ্জের লীলাহাটিতে বুড়ি তিস্তার ওপর পাকা সেতু বানাতে প্রশাসন ব্যর্থ বলেই অভিযোগ। ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রায় দুই হাজারের বেশি মানুষ পারাপার করেন।পাকা সেতু না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে এলাকাবাসীর মনে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা শিবু রায়। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় পাকা সেতুর দাবি রয়েছে, বিষয়টি আমরা উপর মহলে জানিয়েওছি।গ্ৰামবাসীর স্বার্থে পাকা সেতু নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতকালে বুড়ি তিস্তায় সেভাবে জল না থাকলেও বর্ষার দিনে বুড়ি তিস্তা ফুলেফেঁপে ওঠে। বুড়ি তিস্তায় জল বাড়লেই জলের তোড়ে সাঁকো ভেঙ্গে যায়। ফলে বুড়ি তিস্তা পারাপারের জন্য প্রতি বছর নতুন করে ফের সাঁকো তৈরি করতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপর মহলে এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে মৌখিক ও লিখিত আকারে বহুবার দাবি জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। এমনকি ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে তাঁরা কথা রাখেননি।গ্ৰামবাসী তপন রায় বলেন, বুড়ি তিস্তার ওপর স্থায়ী সেতু না থাকাটাই আমাদের এলাকার অন্যতম প্রধান সমস্যা।প্রায় ২০ বছর ধরে আমরা পাকা সেতু নির্মাণের জন্য পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছি। কিন্তু প্রতিবারই আশ্বাস ছাড়া আমরা কিছুই পাইনি। অপর গ্ৰামবাসী অমল বর্মন বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে আমরা বুড়ি তিস্তা পারাপার করি। নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ কর্ম থেকে শুরু করে সব কাজেই আমাদের বুড়ি তিস্তা পারাপার করে যাতায়াত করতে হয়।আমাদের সমস্যাগুলি কখনোই প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় না।
পারমেখলিগঞ্জ গ্ৰাম পঞ্চায়েত প্রধান চুমকি রায় সেন বলেন, পাকা সেতু নির্মাণের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র উপর মহলে পাঠানো হয়েছিল। আশা করছি দ্রুত সেতুর কাজ শুরু হবে।কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য গোপাল রায় বলেন , বুড়ি তিস্তা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য শ্রীঘ্রই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।