বেহাল হয়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স, স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন না বড় শৌলমারীবাসী
বিদ্যুৎ কান্তি বর্মন, সিঙ্গিজানি, ১৭অক্টোবর:- কোচবিহার জেলার বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্যারাডাইস ক্লাব ও পাঠাগার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে বেহাল অবস্থা,যত্নের অভাবে অধরে নষ্ট হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স ভোগান্তির শিকার এলাকাবাসী। জানাযায়,মাথাভাঙা দুই নং ব্লকের বড় শৌলমারী অঞ্চলের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বলতে ছিল প্যারাডাইস ক্লাব ও পাঠাগার এর দিবা-রাত্রি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। ২০১১ সালে তৎকালীন বনমন্ত্রী ও বিধায়ক অনন্ত রায় বড় শৌলমারী অঞ্চলের এলাকাবাসীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা সুবিধার্থে অ্যাম্বুলেন্সটি প্যারাডাইস ক্লাব ও পাঠাগার এর হাতে তুলে দেয়। তাপর ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এলাকাবাসী অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পেলেও বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্স যত্নের অভাবে ও ড্রাইভার এর সাথে ক্লাব কর্তৃপক্ষের চুক্তির অনুযায়ী টাকা পয়সা সঠিক লেনদেন না হওয়ায় জঙ্গলে পরে অধরে নষ্ট হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সটি বলে জানা যায়। এলাকাবাসী আনন্দ দত্ত, সুধাংশু ভৌমিক , অনিল সরকার সহ আরো অনেকেই জানান বড় শৌলমারী অঞ্চলের এখনো পর্যন্ত একমাত্র অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বলতে প্যারাডাইস ক্লাব ও পাঠাগারের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাটি ছিল কিন্তু গত ২০১৮ সাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি সুরঞ্জন বর্ধনের বাাড়ির পাশে একটি জঙ্গলে নষ্ট হতে দেখছি। ২০১০ সাল পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সটি সাধারণ মানুষের দিবা-রাত্রি সঠিক পরিষেবা দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এই অঞ্চলে স্থায়ীভাবে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে আর অন্য কোন অ্যাাম্বুলেন্স পরিষেবা না থাকায় গ্রামবাসীরা চাইছেন এই অ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুত মেরামত করে চালুর করার ব্যবস্থা হোক বা সরকারের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে বড় শৌলমারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হোক যাতে সাধারণ মানুষের সুবিধা হয়।এ বিষয়ে প্যারাডাইস ক্লাব ও পাঠাগারের সম্পাদক জয়ন্ত রায় জানান 2012 সাল থেকে 2016 সাল পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সটি বছর চুক্তি ভিত্তিক দেখভাল সহ চালানোর দায়িত্বে নিয়েছিল মিলন বর্মন। পরবর্তীতে ক্লাব মেম্বারদের সাথে লেনদেন নিয়ে তার বচসা বাধে ফলে অ্যাম্বুলেন্সটি মিলন কাছ থেকে তার বাবার কথা মত ক্লাব কর্তৃপক্ষ নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ক্লাব সদস্য সুরঞ্জন বর্ধন অ্যাম্বুলেন্সটি চুক্তিভিত্তিক হিসাবে দু’বছরের জন্য অ্যাম্বুলেন্সটি চালানোর জন্য ও সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব নেয়। কিন্তু ছয় মাস চালানোর পর অ্যাম্বুলেন্সটি বসিয়ে রাখে। তবে কী কারণে অ্যাম্বুলেন্স টি বসিয়ে রাখা হলো তা জানতে মিটিংয়ে তাকে ডাকলেও তিনি আসেননি। এ বছর কালি পুজোতে বাৎসরিক সিদ্ধান্ত আলোচনা করে পুনরায় চালানো ব্যস্ত করা হবে। তবে কোনো সরকারি সাহায্য না পাওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পুনরায় চালু করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে সরকারি সাহায্য মিলে ক্লাব সহ এলাকার সাধারণ মানুষেরা দিবারাত্রি অ্যাম্বুলেন্সস পরিষেবা পেতে সুবিধা হবে।