ব্যাপক হারে নদীতে ভাঙ্গন আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের
মালদা:আমজাদ আলী : হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ফুলহর নদী তীরবর্তী অঞ্চল এর দক্ষিণ তীরে নদীর জল কমতেই ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।ব্যাপক হারে ভাঙ্গনের জেরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে নদী ক্রমশ জনবসতীর কাছে চলে এসেছে।জনবসতি এলাকা থেকে নদী আর মাত্র কুড়ি মিটার দূরে। ইতিমধ্যে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার বেশ কতগুলি পোল ভাঙ্গনের প্রভাবে নদীর খুব কাছে চলে এসেছে। এক দু দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করার খুঁটিগুলি নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভাঙ্গন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ইলেকট্রিকের পোল নদীর দিকে হেলে পড়েছে ভাঙ্গনের জেরে। পোল গুলি নদীর তলায় চলে গেলে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই সাত থেকে আটটি গ্রামের মানুষ কার্যত অন্ধকারে ডুবে যাবে। নদী ভাঙ্গনের জেরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে হরিশ্চন্দ্রপুরের এক অংশ।প্রশাসনিক সূত্রে খবর নদী ভাঙ্গনের জেরে ইসলামপুর অঞ্চলের কাউয়া ডোল, রশিদপুর, উত্তর ভাকুড়িয়া, দক্ষিণ ভাকুরীয়া, মিরপাড়া তাঁতিপাড়া সহ একাধিক গ্রামের নদী সংলগ্ন বিভিন্ন পাড়া র খুব কাছে নদী চলে এসেছে।ভাঙ্গনের এই চেহারা দেখে এলাকার কৃষকেরা নদী তীরবর্তী অঞ্চলে চাষ করা পাট অপরিণত অবস্থাতেই কেটে নিচ্ছে। খুলে নেওয়া হচ্ছে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা কাঁচা বাড়িগুলি।এইভাবে ভাঙন চলতে থাকলে অচিরেই হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লক এলাকার ইসলামপুর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। ইলেকট্রিক পোল গুলি নদীর তলায় চলে গেলে কার্যত এলাকার ৫ থেকে ১০ হাজার মানুষ কে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় কাটাতে হবে।